সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা চুরি করেছিলেন গাড়ি। তাড়া করতে গিয়ে তাঁর ৯ বছরের ছোট্ট ছেলেকে গুলি করে মারল পুলিশ। এমনই মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ইরান। পুলিশের দাবি, অনেকবার হুঁশিয়ারি দিয়ে তবেই গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু মৃত শিশুর বাবার দাবি, কোনও হুঁশিয়ারিই দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠল ইরানের (Iran) পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
ঠিক কী হয়েছিল? ইরানের সুস্তার কাউন্টির পুলিশ কর্তা রুহোল্লা বিগডেলি সেদেশের পুলিশের ওয়েবসাইটে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন, যেহেতু ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেই গাড়ি চুরির রেকর্ড রয়েছে। রেকর্ড রয়েছে মাদক পাচারেরও। তাই বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার মিলে তাঁকে ধরতে চেষ্টা করছিলেন। অভিযুক্ত একটি গাড়ি চুরি করে পালাচ্ছিলেন। গাড়িতে তাঁর ছেলেও ছিল। পুলিশের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও ওই ব্যক্তি গাড়ি থামাননি। এরপরই গুলি চালায় পুলিশ। আর সেই গুলিতেই মারা যায় ওই ব্যক্তির ছোট্ট ছেলে মোর্তেজা ডেলফ জারেগানি। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ছোট্ট ছেলেটি থাকা সত্ত্বেও
[আরও পড়ুন: মোদিকে অপছন্দ হতেই পারে, কিন্তু তাঁকে নিয়ে কুকথা বলা উচিত নয়: গুজরাট হাই কোর্ট]
মোর্তেজার ছবি অনেকেই শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু নেটিজেনই শোকপ্রকাশ করেছেন এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে। অনেকেরই মনে পড়ছে কিয়ান পিরফলকের কথা। ৯ বছরের সেই বালকটিও পুলিশের গুলিতে মারা যায়। পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকারীদের উপরে গুলি চালায় পুলিশ। সেই গুলিতেই মারা যায় কিয়ান। মোর্তেজার করুণ পরিণতি মনে করিয়ে দিল সেই ঘটনার কথাও।