সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) ফের জড়িয়ে গেল ইরানের নাম। কামিকাজে ড্রোনের পর এবার রাশিয়াকে উন্নতমানের মিসাইল দেওয়ার কথা জানা গেল ইরানের সামরিক আধিকারিকদের তরফে। প্রসঙ্গত, রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে ইরান (Iran)। কিন্তু এবার রাশিয়া-ইরানের অস্ত্র সরবরাহের চুক্তির কথা প্রকাশ করেছেন তেহরানের আধিকারিকরাই। অক্টোবর মাসেই দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সই করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
ইরানের এক সামরিক কর্তা জানিয়েছেন, অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে অক্টোবর মাসের শুরুর দিকেই মস্কো গিয়েছিলেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে জানা গিয়েছে, গত ৬ অক্টোবর রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি সই করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “আরও বেশি পরিমাণে ড্রোন চেয়েছে রাশিয়া। তাছাড়াও আগের তুলনায় উন্নতমানের মিসাইল চাওয়া হয়েছে রাশিয়ার তরফে।” ইতিমধ্যেই ইরানের কামিকাজে ড্রোন (Kamikaze Drone) ব্যবহার করে ইউক্রেনের নানা এলাকায় বিধ্বংসী হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
[আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি জটিল’, ইউক্রেন নিয়ে স্বীকারোক্তি রুশ ফৌজের সুপ্রিম কমান্ডারের]
তবে ইরানের তরফে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অস্ত্র রপ্তানি করাই তাদের কাজ। সেই অস্ত্র কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই রপ্তানিকারক সংস্থার। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলি যেভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করছে, ইরান মোটেও সেরকম আচরণ করছে না। বরং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান হোক, ইরান সেটাই চায়। তবে ইরানের সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের বিষেশজ্ঞরা বলেছেন, এখন নিজের দেশে অস্ত্র উৎপাদন করতে পারছে না রাশিয়া। নানা ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই জন্য অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল পাচ্ছে না মস্কো। ফলে অস্ত্র পাওয়ার জন্য ইরান বা উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলির উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে রাশিয়াকে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইরানের এই সমঝোতা হওয়ার ফলে চাপ বাড়বে আমেরিকার উপরে। এই দুই দেশের বন্ধুত্বকে বরাবর ‘শয়তানের অক্ষ’ বলে অভিহিত করে এসেছে ওয়াশিংটন। তাই রাশিয়া-ইরান হাত মেলালে বিপাকে পড়বে আমেরিকা।