সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। গাজায় বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যা নিয়ে বহু দেশের সমালোচনার মুখে পড়েছে ইহুদি দেশটি। ইজরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সন্ত্রাসী সংগঠন হেজবোল্লা ও ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠী । তাদের মদত দিচ্ছে ইরান। এই প্রেক্ষাপটে এবার নয়া হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে আনল তেহরান। মনে করা হচ্ছে, ইজরায়েলের উপর চাপ বাড়াতেই ইরানের এই পদক্ষেপ।
আল জাজিরা সূত্রে খবর, রবিবার ইরানের (Iran) রাজধানী তেহরানে এক সামরিক প্রদর্শনীতে নতুন এই ফাতাহ হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে আনে ইরান সেনার বিশেষ বাহিনী ‘ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কোর‘। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। নতুন এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এদিন আরও একবার ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হন খামেনেই। গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। প্যালেস্টাইনের যোদ্ধাদের সঙ্গে তারা লড়াইয়ে পেরে উঠছে না তাই রাগের বশে এই পন্থা অবলম্বন করছে। ক্ষোভ উগরে তিনি আরও বলেন, “জায়নবাদ বর্ণবিদ্বেষের প্রতীক।” একই সঙ্গে তিনি তোপ দাগেন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানো পশ্চিমের দেশগুলোকেও।
[আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ মোদির ডাকে সাড়া! ভারচুয়াল G-20 সামিটে যোগ দিচ্ছেন পুতিন]
এই প্রেক্ষিতে সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যের এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত আবহে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে এনে ইজরায়েলকে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে ইরান। এর আগেই গাজায় সাধারণ মানুষ ও শিশুদের মৃত্যু নিয়ে ইহুদি দেশটিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান। গত মাসে তারা বলেছিল, ‘ইজরায়েলের (Israel) বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং এর পরিণতি সুদূরপ্রসারী হতে পারে।’ এছাড়াও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও (Ebrahim Raisi) তোপ দেগে বলেছিলেন , ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আসল অপরাধী আমেরিকা। গাজায় সামরিক অভিযানের দায়ে অবিলম্বে ইজরায়েলের উপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। ফলে ইরান যদি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামে তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
বলে রাখা ভালো, ১,৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বিকল করতে সক্ষম এটি। ফার্সি ভাষায় ফাতাহ শব্দের অর্থ ‘জয়ী’। চলতি বছরের জুন মাসে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ইরানের তরফে।