সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেজবোল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে 'বদলা'র ডাক দিল ইরান। তেল আভিভের হানায় হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু হয় শনিবার। তার পরেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছে ইরান। হেজবোল্লা প্রধানের উপর হামলার ঘটনায় বিশেষ বৈঠক চেয়েছে তারা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইরানের কূটনৈতিক ভবন বা আধিকারিকদের উপর হামলা হলে ফল ভালো হবে না।
শুক্রবার থেকে লেবাননে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে নিকেশ করাই ইজরায়েলি সেনার উদ্দেশ্য ছিল। সেই জন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে চলেছে হামলা। শনিবার সকালে খবর মেলে, মৃত্যু হয়েছে নাসরাল্লার কন্যা জাইনাবের। সদর দপ্তরের ধ্বংসাবশেষ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর ছড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইজরায়েলি সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নাসরাল্লার মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে নাসরাল্লাকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানান ইজরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি।
তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। নাসরাল্লার মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন অন্তত হাজারখানেক মানুষ। ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বদলা নিতে হবে ইজরায়েলের থেকে, এই দাবিতে সরব হন প্রতিবাদীরা। তার পরেই রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছে তেহরান। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশকে তারা আহ্বান জানিয়েছে, নাসরাল্লার মৃত্যু নিয়ে জরুরি বৈঠক হোক। আগামী দিনে ইরানের উপর হামলা হলে পালটা আক্রমণ করতে তেহরান পিছপা হবে না বলেই সাফ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে।
যদিও নাসরাল্লার মৃত্যুকে 'হিসেব চুকিয়ে' দেওয়া হিসাবেই দেখছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আমেরিকার তরফেও বলা হয়, বহু মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী হেজবোল্লা। যদিও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।