সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের ছাবাহার এলাকা থেকে প্রাক্তন ভারতীয় নৌ আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে অপহরণ করে পাকিস্তানের সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল। তারই প্রতিদান মিলল! ইরানের সেই শীর্ষ জঙ্গি মোল্লা ওমর ইরানি (Mullah Omar Irani)-কে অবশেষে মরতে হল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গুলিতেই। তাদের তরফে ওই জঙ্গিকে নিকেশ করার কথা ঘোষণা করে একে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জঙ্গিদের সঙ্গে পাক সেনার গুলির লড়াইয়ে ওমর ইরানির দুই ছেলেও খতম হয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইরান (Iran) -এর সবচেয়ে কুখ্যাত জঙ্গি মোল্লা ওমর ইরানিকে জশ উল আদাল নামে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রধান। ইরানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার পিছনে তার হাত ছিল। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হয়েও কাজ করত। সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করে ইরানের প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় তেহরান। এর ফলে বাধ্য হয়ে মোল্লা ওমর ইরানিকে খতম করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে সংঘাত, পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ]
তার ভিত্তিতেই গত ১৭ নভেম্বর বালোচিস্তান (Balochistan) -এর কেচ জেলার টুরবাট শহরে থাকা ওই ইরানি জঙ্গির গোপন ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। সেখানে উভয়পক্ষের গুলির লড়াইয়ের জেরে ওমর ইরানি ও তার দুই ছেলে খতম হলেও পাক সেনার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানি সেনাদের খুন ও সাধারণ নাগরিকদের অপহরণ-সহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে তেহরান ওমনকে গ্রেপ্তার করতে চাইছিল। ১৭ তারিখ টুরবাট শহরে তাদের গ্রেপ্তার করতে গেলে গুলির লড়াই হয়। এর ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সরকার কুলভূষণ যাদব (Kulbhushan Jadhav) -কে সেদেশে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করার কথা বললেও বিষয়টি মিথ্যে বলে দাবি ভারতের। নয়াদিল্লির অভিযোগ, ব্যবসার কাজে ইরানের ছাবাহার এলাকায় থাকা কুলভূষণকে ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অপহরণ করে পাক সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল ওমর ইরানি। এর জন্য প্রচুর টাকাও পেয়েছিল সে।