সংবাদ প্রতিদ ডিজিটাল দেশ: ইরানের পর এবার ইরাক (Iraq)। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল বাগদাদের একটি আদালত। ইরাকি সামরিক বাহিনীর এক কমান্ডারের হত্যার অভিযোগে এই পরোয়ানা বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বিহারে গরুচোর সন্দেহে তিন মদ্যপকে বেধড়ক মারধর উত্তেজিত জনতার, মৃত ১]
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি নিহত হন। ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁর সফরসঙ্গী আবু মেহদি আল-মুহানদিসেরও। বলে রাখা ভাল, এই মুহানদিস ছিলেন ইরাকের ‘পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স’ (PMF) নামের শিয়া আধা সামরিক বাহিনীর কমান্ডার। ইরানের মদতপুষ্ট এই আধাসেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সব মিলিয়ে সোলেমানির সঙ্গে মুহানদিসকেও খতম করা হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে। এই বিষয়ে মামলা চলছিল বাগদাদের একটি আদালতে। ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “প্রাতথমিক তদন্তের পর বিচারক আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এই হত্যার অপরাধে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।”
উল্লেখ্য, জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বাগদাদ বিমানবন্দরে হামলায় মুহানদিসের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘এক দামে দু’টি বস্তু পাওয়া গেল’। তারপর থেকেই প্রতিহিংসায় ফুঁসছে ইরান ও ইরাকের শিয়া বাহিনী। গত মঙ্গলবার, ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইরান। ইসলামিক দেশটির শীর্ষ সেনাকর্তা কাশেম সোলেমানির হত্যার মামলায় ট্রাম্প-সহ আটচল্লিশ জন মার্কিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে তেহরান। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষের পরও তাঁর বিচার চেয়ে সরব হবে ইরান। ইতিমধ্যে ট্রাম্প ও বাকিদের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারির আবেদন করেছে ইরান। এটা ইন্টারপোলের সর্বোচ্চ স্তরের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এমন ক্ষেত্রে আবেদনকারী দেশের তরফে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।