সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) আয়ারল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হল ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের কুখ্যাত ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে হার মানল ইংরেজরা। তবে এই প্রথম নয়। বড় টুর্নামেন্টের মঞ্চে এর আগেও ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করেছে আইরিশরা। ক্রিকেট মহাঅনিশ্চয়তার খেলা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলও হারিয়ে দিতে পারে শক্তিশালী দেশকে। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ভারত ছিল আন্ডারডগ। কেউ কপিলের দলকে ধর্তব্যের মধ্যেও আনেননি। কিন্তু লর্ডসের ব্যালকনিতে কপিলের হাতে উঠেছিল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে অনেকবারই চমকে দিয়েছে তথাকথিত ছোট দলগুলি। ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়া সেই ম্যাচগুলি আরও একবার দেখে নেওয়া যাক।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভিভ রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েডের মতো তারকাখচিত দল। তার উপরে দু’ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাইনালে লয়েডের সামনে পড়েছিল কপিল দেবের ভারত। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা। অনেকেই ভেবেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ হাসতে হাসতে সেই রান তুলে দেবে। কিন্তু মোহিন্দর অমরনাথ আর মদন লালের ম্যাজিকে ১৪০ রানে শেষ হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। বিশ্বকাপ ওঠে কপিল দেবের হাতে।
১৯৯৬ সালেও দুর্বল দলের বিরুদ্ধে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল কেনিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৬ রানে অল আউট হয়ে যায় কেনিয়া। জবাবে একশো রানও তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
ভারত-পাক ম্যাচের মতোই উপমহাদেশের আরেকটা উত্তেজক ম্যাচ হল পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নামে বিশ্বকাপ। আর আবির্ভাবেই পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। ৬২ রানে ম্যাচ জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিস বাংলার বাঘরা।
[আরও পড়ুন: ‘বিরাট রোজ জেতাবে না’, নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে দুই তারকাকে তুলোধোনা প্রাক্তনীর]
২০০৭ সালেও জায়ান্ট কিলার হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। বাংলাদেশের কাছে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এই হারের ফলে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় নিতে হয় ভারতকে।
২০১১ সালে উপমহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। সেখানেও গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয় আয়ারল্যান্ড। হাই স্কোরিং ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড। ৩২৮ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে আইরিশরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান কেভিন ও’ব্রায়েন। শেষ ওভারে এসে ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড।
চলতি বিশ্বকাপেও এহেন অঘটনের সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট দুনিয়া। বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠার লড়াইয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়েছিল নামিবিয়া। ৫৫ রানে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল নামিবিয়া।
বুধবার আবারও আইরিশদের কাছে হার মানতে হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড বোলারদের দাপটে অল আউট হয়ে গেলেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে হার মানতে হয় ইংল্যান্ডকে।
[আরও পড়ুন: ভবানীপুরের কাছেও লজ্জার হার, কলকাতা লিগে এখনও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের]