সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের পর থেকে আর দেশের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি তাঁকে। তা সত্ত্বেও বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির এ গ্রেডে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। কেন তাঁকে রাখা হয়েছে উপরের সারিতে? নতুন চুক্তি প্রকাশিত হওয়ার পরেই সেই প্রশ্ন তুলেছেন ইরফান পাঠানের মতো প্রাক্তন তারকারা।
হার্দিক পাণ্ডিয়া দেশের হয়ে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৮ সালে। গত বছরের আগস্ট মাসে শেষবার নেমেছিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। আর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে যান। তার পর থেকে বারবার হার্দিকের কামব্যাকের জল্পনা শুরু হলেও আর ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। বোর্ডের নির্দেশ মতো রনজিও খেলেননি। তা সত্ত্বেও বোর্ডের (BCCI) কেন্দ্রীয় চুক্তির এ গ্রেডে রাখা হয়েছে হার্দিককে।
[আরও পড়ুন: টেস্টে ৬৯৮ উইকেট নেওয়া অ্যান্ডারসনের ‘বোলিং গুরু’ কে? নাম জানলে চমকে যাবেন]
এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটমহলে। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে ইরফান পাঠানোর (Irfan Pathan) মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার সকলেই হার্দিকের এই চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে ইরফানের প্রশ্ন, হার্দিক যদি লাল বলের ক্রিকেট খেলতে না পারেন, তাহলে তাঁর মতো ক্রিকেটারদের কি উচিত নয় সাদা বলের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা? নিয়ম যদি সকলের জন্য সমান না হয় তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট তার কাঙ্খিত ফলাফল পাবে না।
শুধু ইরফান নয়, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে হার্দিকের গ্রেড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। এক নেটিজেনের দাবি, হার্দিক পাণ্ডিয়া তো শুধু এনসিএ আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন। তা সত্ত্বেও কেন বোর্ড চুক্তির এ গ্রেডে রয়েছেন তিনি? অন্যদিকে কুলদীপ যাদবের মতো তারকা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেললেও তাঁর জায়গা হয়েছে বি গ্রেডে। অনেকের প্রশ্ন, রনজি না খেলার কারণে যদি দুই ক্রিকেটারকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে হার্দিকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।