ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কোভিড টিকাকরণ (Covid-19 Vaccination) কেন্দ্র থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বিশৃঙ্খলার খবর সামনে আসছে। লাইনে দাঁড়িয়ে পদপিষ্ট হওয়ার খবরও সামনে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সেই বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে মঙ্গলবার সন্ধেয় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠক শেষে বেশকিছু নির্দেশিকাও দিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিক পর্যায়ের কোভিড (Corona Virus) টিকার খরা কাটিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্র করোনা টিকার পর্যাপ্ত জোগানের আশ্বাস দিয়েছে। আমজনতার মধ্যেও টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। জেলায়-জেলায় টিকাকেন্দ্রগুলির সামনে লম্বা লাইন পড়ছে। লাইন দিয়েও টিকা না মেলার অভিযোগ উঠেছে। লাইনে হচ্ছে হুড়োহুড়ি। যার জেরে কোথাও কোথাও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যসচিব। কী বললেন তিনি?
[আরও পড়ুন: COVID-19: টিকাতেও মিলবে না সুরক্ষা, করোনার নতুন স্ট্রেন আরও সংক্রামক! দাবি গবেষকদের]
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতার মতো এবার জেলাতেও টিকার জন্য কুপন বিলি করা হবে। কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিলি করা হবে কুপন। কুপন ছাড়া দাঁড়ানো যাবে না টিকার লাইনে। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকার জন্য কুপন বিলি করা হবে। টিকা নেওয়ার দু-তিনদিন আগে মিলবে কুপন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ-প্রশাসনকেও আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
ছোট-ছোট স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাদ দিয়ে, বড় স্কুল বিল্ডিংয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায়-জেলায় কন্ট্রোল রুম চালুর কথাও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ রাখার কথাও বলেছেন তিনি। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজে অগ্রাধিকারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: কান্দাহারে উড়ন্ত মার্কিন কপ্টার থেকে ঝুলছে মানুষ! ভাইরাল নৃশংসতার ছবি]
শুধু তাই নয়, দুয়ারে সরকারের মতো বুথে-বুথে ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন মুখ্যসচিব। সেক্ষেত্রে বুথে বুথে চিকিৎসক, নার্সরা গিয়ে টিকাকরণ করবেন। কিন্তু কবে থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে টিকাকরণ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে আরও সজাগ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।