সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুলের গুরুদ্বারে হামলার দায় স্বীকার করে বিস্ফোরক বয়ান আইসিসের (ISIS)। বিশ্বনবী হজরত মহম্মদের অপমানের বদলা নিতেই এই হামলা বলে মন্তব্য জঙ্গি সংগঠনটির। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে আইসিসের স্থানীয় শাখা জানিয়েছে, মহম্মদের (Prophet Mohammad) অপমানের বদলা নিতেই হিন্দু এবং শিখদের টার্গেট করা হয়েছে। যারা যারা হিন্দু এবং শিখদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে, তাদেরও রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।
ইসলামিক স্টেট খোরাসান (IS-Khorasan) নামের জঙ্গি সংগঠনটি তাদের নিজস্ব সংবাদমাধ্যমে এক বার্তায় জানিয়েছে, হিন্দু, শিখদের এবং তাঁদের যে কাফেররা রক্ষা করার চেষ্টা করছে তাঁদের টার্গেট করে এই হামলা করা হয়েছে। আল্লার দূতকে সমর্থনের বার্তা দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ওই জঙ্গি সংগঠনটি জানিয়েছে, তাদের এক যোদ্ধা হিন্দু এবং শিখদের ওই ধর্মস্থানের প্রহরীকে হত্যা করে ভিতরে ঢুকে পৌত্তলিকদের উপর গুলি চালিয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার ইউক্রেনে আসতে হলে ভিসা লাগবে রুশ নাগরিকদের, ঘোষণা জেলেনস্কির]
আফগান সংবাদমাধ্যম টলো নিউজ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কাবুলের কার্তে পারওয়ান এলাকায় একটি গুরুদ্বারে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পর গুরুদ্বারের নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করে ওই ধর্মস্থলে ঢুকে পড়ে দুই জঙ্গি। তারপরই গুলি চালানো শুরু করে গুরুদ্বারে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ হিন্দু ও শিখদের উপর। ঘটনায় এক আফগান শিখের মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: কাবুলের গুরুদ্বারে জোড়া বিস্ফোরণ, হামলাকারীদের সঙ্গে জোর লড়াই তালিবানের]
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) টুইট করে হামলার নিন্দা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারের কাপুরুষোচিত হামলায় আমি স্তম্ভিত। আমি এই বর্বর হামলার নিন্দা করছি। আমি পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা কামনা করি।” বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনার পর তৎপরতার সঙ্গে আফগানিস্তানে আটকে থাকা শিখ এবং ভারতীয়দের জরুরি ভিত্তিতে ই-ভিসা দেওয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে ই ভিসা দেওয়া হয়েছে।