দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ব্রিগেড সমাবেশের (Brigade Parade ground) ঠিক আগে ভাঙড়ে উত্তেজনা। রবিবার সকালে ভাঙড় থেকে কলকাতায় যাওয়ার পথে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী, সমর্থকদের গাড়ি আটকানো নিয়ে বচসায় জড়ায় তৃণমূল (TMC)-আইএসএফ (ISF)। অভিযোগ, রবিবার সকালে একটি গাড়ি নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ সদস্যরা। দুর্গাপুরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধার করে নলবড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও সংঘর্ষ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। থানায় কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।
রবিবার সকালে ভাঙড় থেকে আইএসএফের এক দল সমর্থক গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রিগেডে যোগ দিতে। অভিযোগ, দুর্গাপুরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। বাধা পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে আইএসএফ সমর্থকরা তাঁদের মারধর করেন বলে পালটা অভিযোগ তৃণমূলের। বেলা প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ এ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের হাসপাতালে ভরতি করার পর আইএসএফের অন্যরা ফের ব্রিগেডের পথে এগিয়ে যান।
[আরও পড়ুন: আর্থিক অবস্থার অবনতির কারণ দেখিয়ে ফের কাজ বন্ধের নোটিস হুগলির জুটমিলে, কর্মহীন বহু]
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশের সাক্ষী কলকাতা। এতদিন যে ময়দানের সঙ্গে শুধুই বামফ্রন্টের নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকত, এবার আর তা একচেটিয়া বামেদের থাকছে না। এবার রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে জোট বেঁধেছে বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। একই মঞ্চ ভাগ করে নেবেন তিন দলের নেতৃত্ব। বলা হচ্ছে, জনসমাগমে আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে রবিবারের সমাবেশ। তিন দলের প্রায় ১০ লক্ষ কর্মী, সমর্থকের জমায়েত হবে। বাম, কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকদের পাশাপাশি আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির আহ্বানেও প্রচুর মানুষ ব্রিগেডে আসছেন।