দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফের নতুন করে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। দু’পক্ষের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি এমনকী মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এলাকায় চাপা উত্তেজনা এখনও রয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত। ওইদিন রাতে ভাঙড়ে গুলি চলে বলে অভিযোগ। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা গুলি চালায় বলেই দাবি তৃণমূলের। যদিও সেই দাবি খারিজ করে আইএসএফ। প্রতিবাদে হাড়োয়া এলাকায় পথ অবরোধ করেন কর্মী-সমর্থকরা। সেই রেশ ধরে শনিবার সকালেও উত্তেজনা তৈরি হয়। আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা হাতিশালা মোড় অবরোধ করেন।
[আরও পড়ুন: ‘মমতার মতো লড়াই কোথায়!’, বিজেপির কর্মসমিতি বৈঠকে মুখর শুভেন্দু]
অভিযোগ, জোর করে পথ অবরোধ হঠিয়ে দেয় তৃণমূল। তাতেই ক্ষুব্ধ হন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পালটা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলেও দাবি আইএসএফের। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ। আইএসএফের দাবি, তাদের ৬ জন কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। তৃণমূলেরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেই পালটা দাবি ঘাসফুল শিবিরের। তারা প্রত্যেকেই জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি রয়েছেন।’
দেখুন ভিডিও:
দু’পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের হাতিশালা। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তবে এখনও উত্তপ্ত গোটা এলাকা। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। পালটা তৃণমূলের অভিযোগ, বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। তাই নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব তৃণমূল।