অর্ণব দাস, বারাসত: মৃত্য়ু হতে পারে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের! সোমবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (ISF MLA Naushad Siddiqui)। তাই তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা দরকার বলেও মত বিধায়কের। যদিও নওশাদের এই মন্তব্যকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। মন্ত্রী রথীন ঘোষের কথায়, “নওশাদের মনগড়া কথা জবাব দেব না।”
সোমবার অশোকনগরে একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন নওশাদ সেখানেই। সেখানেই সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কালীঘাটের কাকুর মৃত্যু নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নওশাদের কথায়, “সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মৃত্যুর আশঙ্কা করছি। ওঁকে সিসিক্যামেরা এবং নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা দরকার।” তাঁর আরও সংযোজন, ” ওঁর কন্ঠস্বর ভীষণ দরকার। ওঁর কন্ঠস্বর দিয়ে হয়তো কালীঘাট পৌঁছে যেতে পারে ইডি। তাই ওঁর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।” নওশাদের আশঙ্কার পালটা জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর কথায়, “কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের সঙ্গে তৃণমূলের কী সম্পর্ক তা জানি না। নওশাদের এসব মনগড়া, আজগুবি কথার জবাব দেব না।”
[আরও পড়ুন: ‘টাকা পাঠালাম, লড়াইয়ে থাকুন’, ৩ হাজার বঞ্চিতকে চিঠি লিখে ‘কথা রাখলেন’ অভিষেক]
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একটি অডিও রেকর্ডিং পায় ইডি। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি। ওই গলার স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চায় ইডি। বর্তমানে ‘কালীঘাটের কাকু’ ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। ইডির দাবি, আদালতের নির্দেশের পরেও গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইডির দাবি এসএসকেএমের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মানসিক চাপে রয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হলে চাপ আরও বাড়তে পারে বলেও দাবি। সূত্রের খবর, হাসপাতালে তাঁর সাইকো থেরাপি করা হচ্ছে। ইডি চায় এসএসকেএমের পরিবর্তে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হোক। এর মাঝেই ‘কালীঘাটের কাকু’র মৃত্যুর আশঙ্কা করলেন নওশাদ সিদ্দিকি।