সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানের মাথাব্যথা বাড়িয়ে আবারও আফগানিস্তানকে রক্তাক্ত করল ইসলামিক স্টেট (ISIS)। শুক্রবার কান্দাহারের মসজিদে হওয়া বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল জেহাদি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে হামলা, ‘সন্ত্রাসবাদী হানায়’ মৃত অন্তত ৫]
শুক্রবার শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণের সায় স্বীকার করে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ইসলামিক স্টেটের নিজস্ব সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’। ওই বিবৃতিতে বলা হয়ছে, “আমাদের দুই যোদ্ধা মসজিদের নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে খুন করে ভিতরে প্রবেশ করে। সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।” বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, শিয়া জনগোষ্ঠীকে নিশানাএ করছে আইএস। আফগানিস্তানে এবার তালিবানের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটি। ভবিষ্যতে এহেন হামলার ঘটনা আরও ঘটবে।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে আফগানিস্তানের (Afghanistan) কান্দাহার প্রদেশ। নমাজ পড়ার সময়ই ভয়ংকর বিস্ফোরণটি ঘটে কান্দাহারের একটি শিয়া মসজিদে। তাতেই এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আহত আরও অনেকে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসলামিক স্টেট। গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস। তারপর আরও একটি মসজিদকে নিশানা করে জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।