সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মসজিদে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (ISIS)। শুক্রবার শিয়া ধর্মস্থানে হামলার ওই ঘটনায় এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫৬ জনের।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে ফের ভোট দিল না ভারত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু মানবাধিকার পরিষদের]
পেশোয়ারের শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলা নিয়ে নিজেদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’-এ ইসলামিক স্টেট এক বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “শুক্রবার, একটি শিয়া মসজিদে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে আমাদের এক যোদ্ধা।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর এটাই পাকিস্তানে ইসলামিক স্টেটের সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ, এবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে পাক জমিতেও শিকড় ছড়াচ্ছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটি। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইতিমধ্যে ইসলামাবাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে জেহাদি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। এবার আইএস মাথাচাড়া দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে আইএসআই কি তবে জেহাদিদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে?
উল্লেখ্য, শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল পেশোয়ারের এক মসজিদে নমাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে পেশোয়ারে। জানা যায়, শহরের কিসা খোয়ানি বাজার এলাকার জামিয়া মসজিদটিতে প্রতি শুক্রবারের মত নমাজ পড়ার জন্য জমায়েত হন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষজন। কিন্তু প্রার্থনা করতে গিয়ে যে এমন প্রাণঘাতী হামলার মুখে পড়তে হবে, তা কেউই ভাবেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রার্থনা চলাকালীন প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণের(Blast) শব্দ পান সবাই। কেটে যায় প্রার্থনার রেশ। গোটা মসজিদে তখন শুধু তীব্র ধোঁয়া আর রক্ত। ধ্বংসস্তূপেই পড়ে থাকতে দেখা যায় সর সার মৃতদেহ। অনেক দেহই শনাক্ত করার মতো অবস্থায় ছিল না। মসজিদ থেকে বেরনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আতঙ্কিত মানুষজনের মধ্যে। নিহতদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন।