সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসিসের (ISIS) মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি টার্গেট করেছে হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মেয়েদের। বিশেষ করে পড়ুয়াদের। এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে বিজেপিকেই (BJP) ভোট দেওয়া দরকার। এমন ভাবেই কেরল নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচারে ‘লাভ জেহাদ’ ইস্যুকে তুলে আনলেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন।
গত কয়েক মাস ধরেই বারবার উঠে এসেছে লাভ জেহাদের অভিযোগ। এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের শাসক বিজেপি নেতৃত্ব। পাশ হয়েছে বিলও। এবার কেরলেও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার পরে এই আইন কার্যকর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারা। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই আইসিসের নাম উঠে এল সুরেন্দ্রনের মুখে। তাঁর কথায়, ”আইসিস হিন্দু-খ্রিস্টান মেয়েদের টার্গেট করছে। বিশেষ করে ছাত্রীদের। যদি লাভ জেহাদই না থাকে তাহলে কেন সিরিয়ায় পাঠানো হচ্ছে দম্পতিদের। আমাদের ইস্তাহারে আমরা পরিষ্কার জানিয়েছি, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে এ সম্পর্কে আইন করার দিকে এগোব আমরা।” তাঁর অভিযোগ, কেরলে বহু লাভ জেহাদের ঘটনা ঘটলেও কোনও তদন্ত হয়নি। অথচ দক্ষিণের এই রাজ্যে কেবল হিন্দু মেয়েরাই নয়, খ্রিস্টান মেয়েরাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর মাংস ‘হালাল’ নাকি ‘ঝটকা’, জানাতে হবে ক্রেতাদের! নয়া নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, ভিন্ন ধর্মে বিয়ে রুখতে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে লাগু হয়েছে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। ভিনধর্মে প্রেমের সম্পর্কের পর বিবাহবন্ধনে কেউ আবদ্ধ হলে তাঁকে জোর করিয়ে ধর্মান্তকরণের মতো অভিযোগ উঠছে। আবার কোনও ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় কেউ ধর্মান্তরিত হয়েই প্রেমের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। কোন ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটছে, তা চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব নয় এখনও। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠছে। সেসব রুখতে চালু হয়েছে আইন।
কেরলে নির্বাচন আগামী ৬ এপ্রিল। ২ মে বাকি রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের সঙ্গেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে কেরলেরও।