স্টাফ রিপোর্টার: ১১ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে হবে কলকাতা ডার্বি। সরকারিভাবে জানিয়ে দিল মোহনবাগান। যদিও সেটা জানানো হল মাচ শুরুর তিনদিন আগে। আর তাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ডার্বির দিন ঘোষণা করেনি মোহনবাগান। তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেন, "পুরো বিষয়টা পরিকল্পনামাফিক করছে মোহনবাগান। ডার্বির ভেনু ঠিক করে ফেলার পরেও ইস্টবেঙ্গলকে সমস্যায় ফেলতে ইচ্ছে করেই ভেনু ঘোষণা করছে না মোহনবাগান।"
দেবব্রত সরকারের দাবি ছিল, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা বুঝতে পারছেন তাঁদের পুরো দলটাকে কীভাবে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য হল, "মোহনবাগান ইতিমধ্যে স্থির করে ফেলেছে কোথায় ডার্বি হবে। ইতিমধ্যে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তাদের কোচ-ফুটবলরারদেরও জানিয়ে রেখেছে। কোন হোটেলে থাকবে সেই সবের ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছে। অথচ ইস্টবেঙ্গলকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। তার একটাই কারণ, আমরা যাতে সমস্যায় পড়ি। শেষ মুহূর্তে থাকার জন্য ভালো হোটেল পাব না। বিমানের টিকিট পেতে অসুবিধা হবে। কোচ-ফুটবলাররা মানসিকভাবে প্রস্তুতির সুযোগ পাবে না। এমনকী প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড পেতেও সমস্যায় পড়বে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান চেষ্টা করছে, ডার্বির আগে যতরকম ভাবে সম্ভব, আমাদের সমস্যায় ফেলতে। তাতেই ওদের লাভ।"
দেবব্রত সরকার হুঁশিয়ারি দেন, ইস্টবেঙ্গল ঠিকই করে নিয়েছে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। বুধবারেও যদি মোহনবাগান সরকারিভাবে ডার্বির ভেনু না জানায় ইস্টবেঙ্গলও তাহলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারে। ইস্টবেঙ্গলের সেই হুঁশিয়ারির পর বুধবারই সরকারিভাবে ডার্বির ভেন্যু ঘোষণা করে দিল সবুজ-মেরুন শিবির। জল্পনা মতো গুয়াহাটিতেই হবে কলকাতা ডার্বি।