দুলাল দে: হাবাস বিদায়ের পর এখন রীতিমতো চাপে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ। সুযোগ থাকলে এখনই বিদায়ের কাগজপত্র স্প্যানিশ কোচের হাতে ধরিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু ক্লাব নিজের থেকে ছাড়ালে পুরো মরশুমের আর্থিক চুক্তি মেটাতে হবে দিয়াজকে। তাই অপেক্ষা করা হচ্ছে দিয়াজের পদত্যাগপত্রর। কিন্তু সেটাও বোধহয় বেশিদিন অপেক্ষা করা হবে না। এসসি ইস্টবেঙ্গল আর দিয়াজের মধ্যে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচটাই ম্যানুয়েল দিয়াজের ‘ডেডলাইন’ হতে চলেছে। হারলে দিয়াজের থেকে আর পদত্যাগপত্র পাওয়ার আশায় বসে থাকা হবে না। সরাসরি বরখাস্ত করা হবে।
কোচ ইস্যুতে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল পুরো ভিন্ন রাস্তায় রয়েছে। এটিকে মোহনবাগান কোচ বদল করছে, দলকে ফের চ্যাম্পিয়নের রাস্তায় ফেরানোর জন্য। আর এসসি ইস্টবেঙ্গল চাইছে, লিগ টেবিলের শেষতম স্থান থেকে দলকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় রাখার জন্য। কোচ ইস্যুতে এটিকে মোহনবাগান নতুন করে ফের অর্থ খরচ করতে চাইলেও এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ ইস্যুতে নতুন করে আর অর্থ খরচ করতে চাইছে না। সেই জায়গায় দু’জন বিদেশি ফুটবলার পরিবর্তন করতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: জল্পনায় সিলমোহর, এটিকে মোহনবাগানের নয়া কোচ হলেন জুয়ান ফেরান্দো]
প্রথমত, পরের মরশুমে লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী হিসেবে শ্রী সিমেন্টের থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই শেষ মুহূর্তে নতুন করে আর অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইছে না তারা। দলকে একটু ভদ্রস্থ জায়গায় তুলে ধরার জন্য যতটা দরকার, ততটাই খরচ করা হবে। আর এই ভাবনা থেকেই দিয়াজের পদত্যাগপত্রর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এটিকে মোহনবাগান যেরকম হাবাসকে বদলানোর জন্য অনেক আগের থেকেই এফসি গোয়ার কোচ ফেরান্দোর সঙ্গে কথা বার্তা শুরু করে দিয়েছিল। এসসি ইস্টবেঙ্গল সেরকম কারও সঙ্গেই কথা শুরু করেনি। হাবাস চাইছেন না, এই মুহূর্তে আইএসএলের (ISL 2021) কোনও দলে কোচিং করাতে। আর মাত্র দু’মাসের জন্য এসসি ইস্টবেঙ্গলে তো নয়ই। তাছাড়া অন্য দল থেকে চুক্তি ভেঙে কোচ ছিনিয়ে নিয়ে আসার জন্য যে অর্থ খরচ করতে হবে, এসসি ইস্টবেঙ্গল সেটা করবে না। আবার বাইরে থেকে কাউকে নিয়ে এলে তাঁকে যেহেতু কোয়ারেন্টাইনে ১১ দিন থাকতে হবে, তাই দিয়াজ বিদায় হলেও নতুন করে বাইরে থেকে কোচ হিসেবে কাউকে আনার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে এই মরশুমটা সহকারি কোচ দিয়েই নমো নমো করে শেষ করা হবে। তবে হায়দরাবাদ ম্যাচেও যদি দল হারে, দিয়াজকে আর রাখা হবে না।