মোহনবাগান: ৩ (জেমি, শুভাশিস, স্টুয়ার্ট)
মহামেডান: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। অন্যদিকে ছন্দে থাকা মহামেডান। আইএসএলের মহারণের আগে তুল্যমূল্য বিচারে কি কোথাও এগিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড? কিন্তু মাঠে ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। সবুজ-মেরুন ঝড়ে একতরফাভাবে উড়ে গেল মহামেডান। মোলিনার দল জয় পেল ৩-০ গোলে।
এদিন যুবভারতীতে মোলিনা যে দলটা নামিয়েছিলেন, তাতে হয়তো অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। প্রথম দলে নেই দিমি পেত্রাতোস। শুরু থেকেই খেলছেন জেমি ম্যাকলারেন। যে ডিফেন্স নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছেন, সেখানে টম অলড্রেড ও আলবার্তো রদ্রিগেজ, দুজনই প্রথম দলে। সেটার ফল মিলল ঠিকই। কিন্তু প্রবল চাপের ম্যাচে নায়ক হয়ে উঠলেন জেমি ম্যাকলারেন ও গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বিশেষ করে বলতে হয় ম্যাকলারেনের কথা। তিনি এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। মরশুমে প্রথমবার প্রথম একাদশে জায়গা পেলেন। আর দেখিয়ে দিলেন ঠিক কোন কাজের জন্য তাঁকে আনা হয়েছে।
৮ মিনিটের মাথায় প্রথম আঘাতটা আনলেন জেমি। স্টুয়ার্টের হেড থেকে গোল করে গেলেন তিনি। ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছে গেলেন মোহনবাগানের নতুন তারকা। মাঝেমধ্যেই বিপদে ফেলছিলেন মহামেডানের ডিফেন্ডারদের। দ্বিতীয় গোলটি ৩১ মিনিটে। এবারও কারিগর স্টুয়ার্ট। তাঁর ফ্রি-কিক থেকেই গোল করলেন শুভাশিস। আইএসএলে চার ম্যাচে দুটি গোল হয়ে গেল বঙ্গ ডিফেন্ডারের। ভরসা জোগালেন রক্ষণভাগেও।
দুটি অ্যাসিস্টের পর নিজের গোলটিও পেয়ে গেলেন স্টুয়ার্ট। সেটাও এল প্রথমার্ধেই। মাঝমাঠ থেকে যখন তিনি বল নিয়ে ঢুকছেন, তখন মহামেডান ডিফেন্সের কাউকে বাধাই দিতে দেখা গেল না। দিব্যি বল নিয়ে ঢুকলেন, বক্সের বাইরে থেকে জালে বল জড়িয়ে দিলেন। ম্যাচের বয়স তখন ৩৬ মিনিট। ম্যাচ প্রায় ওখানেই শেষ। দ্বিতীয়ার্ধে মহামেডান কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। এর আগে এগিয়ে গিয়েও বিপদে পড়েছে মোহনবাগান। এদিন সেসবের নামগন্ধও ছিল না। বরং আরও গোলের সুযোগ ছিল কোলাসোদের কাছে। শেষ পর্যন্ত ৩ গোলেই থামল মোহনবাগান। যুবভারতীতে সাদা-কালো ব্রিগেডকে বিবর্ণ করে দিয়ে ডার্বির রং সবুজ-মেরুন।