প্রসূন বিশ্বাস: দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কদিন পরেই বোধন। তার মধ্যেই জয়ের সরণিতে মোহনবাগান। শুধু জয় বললে কম বলা হবে, আসলে রাজকীয় কামব্যাক। মহামেডানকে সব বিভাগেই উড়িয়ে দিয়ে জয় পেয়েছে সবুজ-মেরুন। নায়কের মর্যাদায় অভিষেক ঘটেছে বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনের। উৎসবের আমেজে মোহনবাগান সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশি ম্যাকলারেনও।
গত ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে পর্যুদস্ত। তার আগে একটি জয় আর একটি ড্র হলেও ভক্তদের মন ভরেনি। বারবার প্রশ্ন উঠেছে মোলিনার দলের ডিফেন্স নিয়ে। কথা হয়েছে ম্যাকলারেনের ফিটনেস নিয়েও। মরশুমে প্রথমবার প্রথম একাদশে সুযোগ। আর সেটার সদ্ব্যবহার করার কোনও সুযোগই ছাড়লেন না অস্ট্রেলিয়ার তারকা। মহামেডানের বিরুদ্ধে প্রথম গোলটা এল তাঁর হেড থেকেই। ম্যাকলারেন জানতেন এই ম্যাচেই গোল পাবেন। তৃপ্ত তিনিও। বলছেন, "খুব ভালো লাগছে। গত কয়েক সপ্তাহে ফিটনেস নিয়ে খুব খেটেছি। প্রথম একাদশে থাকতে পেরে ভালোই লেগেছে। বিশ্বাস ছিল, এই ম্যাচে গোল পাব।"
শুধু তিন গোলে ম্যাচ জেতা নয়। এবারের আইএসএলে প্রথমবার ক্লিনশিটও রাখল মোলিনা বাহিনী। যার জন্য ডিফেন্ডার আর গোলকিপার বিশাল কাইথের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ম্যাকলারেন। মিডফিল্ডার জুটি আপুইয়া আর থাপা যে এদিন দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছেন, সেটা জানাতেও ভুললেন না।
এর পরই বড় ম্যাচ। মহামেডানের সঙ্গে ডার্বিজয়ের পর ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেই নজর মোহনবাগান সমর্থকদের নতুন নয়নমণির। তিনি ভালোমতোই জানেন এই ম্যাচের গুরুত্ব। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, "এটাই এখনও পর্যন্ত দলের সেরা পারফরম্যান্স। আপাতত বিরতি। সামনেই বড় ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের জন্য আমরা তৈরি।"
মোহনবাগান যে তৈরি, সেটা এদিন ম্যাচে ভালোমতোই বোঝা গিয়েছে। যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে পুজোর মরশুমে লক্ষ-লক্ষ সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাতেই খুশি ম্যাকলারেন। বললেন, "কলকাতাকে তো সিটি অফ জয় বলা হয়। এখন এখানে উৎসবের সময়। সকলে আনন্দ করছে। আমরাও তো সেটাই চেয়েছিলাম। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে। সকলকে দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা।" সত্যিই তো, মোহনবাগান ভক্তদের জন্য শারদোৎসবের সেরা উপহারটা এনে দিলেন ম্যাকলারেনরা।