নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড: ০
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা: ১ (জেকিনহা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা জয় ম্যাড়ম্যাড়ে শিবিরকে চাঙ্গা করতে বড় ভূমিকা পালন করে। আর শুক্রবার ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম থেকে তুলে আনা সেই তিন পয়েন্টই নতুন করে অক্সিজেন দিল এটিকে শিবিরে। হতাশায় মুছড়ে পড়া ক্লাবকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস জোগালো। আর সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখতে পেলেন টেডি শেরিংহাম।
[ওপেনিং কম্বিনেশনে বদল এনে চমক দিতে পারবেন কি বিরাট?]
জন আব্রাহামের নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগেই মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল এটিকে শিবির। দলের প্রধান তারকা রবি কিন চোটের জন্য দলের সঙ্গে যেতেই পারেননি। সদ্য চোট সারিয়ে এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে নেমেছিলেন টম থর্প এবং প্রবীর দাস। একই হাল কোনর থমাসেরও। বলা যেতে পারে, একপ্রকার আনফিট দলই খেলাতে বাধ্য হলেন শেরিংহ্যাম। ফলে দল থেকে খুব বেশি প্রত্যাশার জায়গাও ছিল না। কিন্তু কোচের ভোকাল টনিক ছিল একটাই। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটা পয়েন্টই মূল্যবান। তাই হোম হোক বা অ্যাওয়ে ম্যাচ, পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না। তাছাড়া আট ম্যাচে মাত্র দুবার জয়ের মুখ দেখেছে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। তাই রবি কিনের অনুপস্থিতিতেও নিজেদের প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন রবিন সিংরা। ৭৩ মিনিটে ভাগ্য ফিরল। রবিন সিংয়ের শট আটকে দিলেও জেকিনহার ফিরতি শটেই বাজিমাত করে এটিকে।
এদিন তিন পয়েন্ট ঘরে তুললেও এটিকের পারফরম্যান্স নজর কাড়ল না। গোলের কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও ছন্নছাড়া ফুটবল, অজস্র মিসপাস, লং বলের বাহারে খেলা সেভাবে জমল না। তবে শেরিংহ্যাম এখন স্কিল ভুলে মন দিয়েছেন পয়েন্টের দিকেই। গত ম্যাচে সুনীলদের কাছে হারের জ্বালা ভুলিয়ে এদিন জয়ে ফেরাই আসল সাফল্য এটিকের। এই ম্যাচ জয়ের ফলে ন’ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বর থেকে কলকাতার দল উঠে এল ছয়ে। কেরালা ব্লাস্টার্স ও জামশেদপুরকে পিছনে ফেলে অনেকখানি চাঙ্গা প্রবীর দাসরা। তবে লাগাতার চোট পাওয়া ফুটবলাররা এই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।