সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯০ মিনিটের যুদ্ধে একেবারে দাপুটে পারফরম্যান্স। চলতি আইএসএলে (ISL 10) আরও একবার অ্যাওয়ে ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে (North East United) ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। তবে সবুজ-মেরুন জিতলেও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। একে লাল কার্ড দেখার জন্য ডাগ আউটে ছিলেন না হেড কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferando)। এরমধ্যে চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়ে প্রায় মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল দল। তাই এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দল জেতার জন্য ফুটবলারদেরই ধন্যবাদ জানালেন সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা (Clifford Miranda)।
ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে প্রাক্তন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বলেন, “অনেকেই জানে না যে, কীভাবে নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য আমরা প্রস্তুতি সেরেছিলাম। কয়েক সপ্তাহ আগে আমাদের শিবিরে অন্তত ১১-১২ জনের চোট ছিল। আশিক, আনোয়ারদের তো অনেক দিনের জন্যই হারিয়েছি। আমাদের হাতে কোনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ছিল না। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জেতা অবশ্যই কৃতিত্বের।”‘
[আরও পড়ুন: সুপার কাপে প্রথম একাদশে কতজন বিদেশি? জানিয়ে দিল ফেডারেশন]
চার মিনিটের মাথায় ফাল্গুনি সিংয়ের দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় পাহাড়ের দল। যদিও সমতা ফেরাতে মোহনবাগানকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৫ মিনিটে গোল করে স্কোরলাইন ১-১ করে দেন দীপক টাংরি ((Deepak Tangri)। এর পর জেসন কামিন্স ( (Jason Cummings) ব্যবধান বাড়ান ২৮ মিনিটে এবং ৭১ মিনিটের মাথায় শুভাশিস বোসের (Subhasish Bose) গোলে জয় সুনিশ্চিত করে মোহনবাগান।
মিরান্ডা যোগ করেন, “দলের ছেলেদের মানসিকতা অসাধারণ। শুরুতেই গোল খাওয়ার পর সাধারণত ফুটবলাররা তাদের মেজাজ হারায়, মাথা গরম করে ফেলে, মানসিকভাবে পিছিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা গোল খাওয়ার পরেও একই রকম চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। শুধু যে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখেছে, তা নয়। টেকনিকের দিক থেকেও নিজেদের দক্ষতা বজায় রাখতে পেরেছে আমাদের ছেলেরা।”
নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে জয়ের পর এই মুহূর্তে ৭ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ১৯। ৬টি ম্যাচ জয়ের সঙ্গে ১টি ড্র। ফলে লিগ টেবলের তিন নম্বরে রয়েছে গতবারের আইএসএল জয়ী দল। আগামী ২০ ডিসেম্বর আরও বেশি শক্তিশালী দল মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ফের একটি অ্যাওয়ে নামবে সবুজ-মেরুন। এমন চোটে জর্জরিত দল নিয়েও সবুজ-মেরুন কেমন পারফরম্যান্স করে সেটাই দেখার।