সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিনে একে অপরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল ৩০০রও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র। দিনভর আক্রমণ শানানোর পরে অবশেষে ইজরায়েল এবং লেবাননের তরফে দাবি, এখনই যুদ্ধ পরিস্থিতি চায় না দুপক্ষের কেউই। তবে বিপক্ষকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়ে যাবে দুই দেশই। উল্লেখ্য, রবিবার ভোর থেকে হেজবোল্লা এবং ইজরায়েলি সেনার মধ্যে শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই। তার জেরে সবমিলিয়ে চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
গত ১০ মাস ধরে গাজায় হামাস বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। তার জেরে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও ছায়াযুদ্ধ নয়, সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ হামাস এবং ইরান সবসময়েই একে অপরের পাশে থেকেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবোল্লার সমর্থনও। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনটি জানায়, ইজরায়েলে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা। ইজরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৩২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অলিম্পিকে ছবি তুলে কিমের রোষে দুই অ্যাথলিট, কড়া শাস্তির মুখে উত্তর কোরিয়ার পদকজয়ীরা!]
ইজরায়েলের তরফেও পালটা হামলা হয়েছে লেবাননে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়, রবিবার ভোরবেলা হেজবোল্লার ডেরা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। যেহেতু হেজবোল্লার তরফে বড়সড় হামলার প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গিয়েছে তাই আত্মরক্ষার জন্যই আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তেল আভিভ। জানা যায়, অন্তত ১০০টি জেটের মাধ্যমে লেবাননে আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল। তার মধ্যেই গাজা থেকেও একটি রকেট উড়ে আসে তেল আভিভের দিকে।
দুতরফের এমন আক্রমণের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে দিনভর জিইয়ে ছিল যুদ্ধের আশঙ্কা। তবে ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী জানান, এখনই পুরোদস্তুর যুদ্ধ চাইছেন না তাঁরা। তবে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "এখনও গল্প শেষ হয়নি। আমাদের দেশ রক্ষা করতে সমস্ত রকম চেষ্টা করব। যে আমাদের ক্ষতি করবে আমরা তাদের ক্ষতি করব।" তবে যুদ্ধ না হলেও একে অপরকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চলবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে দুপক্ষের বক্তব্যে। জানা গিয়েছে, রবিবারের হামলায় লেবাননে তিনজন এবং ইজরায়েলে একজনের মৃত্যু হয়েছে।