সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ থামার নাম নেই। এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। তেল আভিভের দাবি, হামাস ঘাঁটি গেড়েছে এখানেও। সেখান থেকে তাদের উৎখাত করতে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েল। এবার এই হাসপাতাল সংলগ্ন একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হল ইজরায়েলের এক তরুণী সেনানীর দেহ। ইহুদি দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনীর দাবি, হামাসের হাতে পণবন্দি হয়েছিলেন তিনি।
এই বিষয়ে শুক্রবার ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, ‘১৯ বছরের কর্পোরাল নোয়া মার্সিয়ানোকে গত ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। গাজার আল শিফার হাসপাতাল সংলগ্ন এক জায়গা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছেন আইডিএফের জওয়ানরা। মৃতার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। তাঁদের আমরা সব রকম সাহায্য করব।’ প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের বুকে হামলা চালানোর পর হামাসের নৃশংসতার ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব। ইজরায়েলিদের অপহরণ করে কথ্য অত্যাচার চালিয়েছে জেহাদিরা। পণবন্দি বানিয়েছে দুশোর উপর মানুষকে।
[আরও পড়ুন: এখানেই হয়েছিল হামলার ছক, হামাসের রাজনৈতিক প্রধানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল!]
বলে রাখা ভালো, বুধবার থেকে গাজার আল শিফার (Al-Shifa) হাসপাতালে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। তাদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে রয়েছে জেহাদিদের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভাণ্ডার। হামাসকে উৎখাত করতে ঢুকে পড়েছে ট্যাঙ্কবাহিনীও। বৃহস্পতিবার জেহাদিদের এই ‘ঘাঁটি’তে অভিযান চালানোর পর এমআরআই বিল্ডিং থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র। ফাঁকা বুলি নয়, ভিডিও প্রকাশ করে জোরাল প্রমাণও দিয়েছে আইডিএফ। জঙ্গিদের খোঁজে তোলপাড় করা হচ্ছে আশেপাশের এলাকাও।
উল্লেখ্য, আল শিফায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। জানানো হয়েছে, ৪ হাজার লিটার জল পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। রান্না না করেই খাওয়া যায়, এমন খাবারের দেড় হাজার প্যাকেটও তুলে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েল সেনার দাবি, সাধারণ মানুষকে রক্ষা করাই তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।