সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে 'বন্ধু' আমেরিকা। পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে গাজায় হামাসের ডেরায় থাকা পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়েও। কাছের মানুষদের ঘরে ফিরে আসার অপেক্ষা করছে পণবন্দিদের পরিবার। কিন্তু এর মাঝেই ফের গাজা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪ জনের দেহ। গত আট মাস ধরে তাঁরা হামাস জঙ্গিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ফলে আরও চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপরে।
হামাস জঙ্গিদের সমূলে নিধন করতে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তেল আভিভ। উত্তর থেকে দক্ষিণ তীব্র হামলা চলছে সর্বত্র। এদিন ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর থেকে ৪ পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের একসঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আমিরাম কুপার, ইয়োরাম মেটজার ও হাইম পেরি নামে ৩ জন। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। যেখানে ওই ৩ জন তাঁদের মুক্তি নিয়ে কাকুতিমিনতি করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের।
[আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা পাকিস্তানের কয়লা খনিতে, বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ গেল অন্তত ১১ জনের!]
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রায় দুশোর উপর মানুষকে। তার পর তাঁদের দ্রুত মুক্তি নিয়ে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। গত মে মাসেই গাজার জাবালিয়া শহর-সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনের দেহ উদ্ধার করে আইডিএফ। সকলের দেহ ইজরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পণবন্দিদের লুকিয়ে রাখা থাকতে পারে এমন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস।
এদিকে, গাজা থেকে দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই আরও উদ্বেগ বেড়েছে পণবন্দিদের পরিবারের। তারা সকলেই ফের একবার ইজরায়েলের সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, দ্রুত যেন বন্দিদের ফেরানোর বিষয়ে পদক্ষেপ করা হয়। তাদের মুক্তি নিয়ে ইজরায়লের অন্দরেই ক্ষোভ বাড়ছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে প্রায় শতাধিক মানুষ বন্দি রয়েছেন হামাসের ডেরায়। অন্যদিকে, রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধ থামানো নিয়েও ক্রমাগত চাপ বাড়ানো হচ্ছে নেতানিয়াহুর উপর।
[আরও পড়ুন: বিপুল ভোটে জয়ী ক্লডিয়া, প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পেল মেক্সিকো]
বলে রাখা ভালো, গত শনিবারই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন ইজরায়েলকে। প্রাথমিক ভাবে অন্তত ৬ মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হামাসকেও পণবন্দিদের প্রত্যর্পণ করতে হবে। এর পর ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা সরানো কিংবা প্যালেস্তিনীয় বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও নেতানিয়াহু এখনও এমন কোনও সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহ দেখাননি। তাঁর সাফ কথা, হামাসকে ধ্বংস করে পণবন্দিদের মুক্ত করাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।