সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চের আহ্বান সত্বেও লড়াই থামাচ্ছে না ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। দুই দিকেই সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোটা বিশ্ব। এহেন সময়ে লড়াই থামাতে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আর এতেই ঘোর আপত্তি আমেরিকার (America)। হোয়াইট হাউসের দাবি, দুই পক্ষের যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব সেই প্রয়াসে বাধা তৈরি করবে।
[আরও পড়ুন: কোভিড মোকাবিলায় ভারতকে কতটা সাহায্য করল আমেরিকা? জানাল হোয়াইট হাউস]
জানা গিয়েছে, এর আগে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত নিয়ে চারবার বিবৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। যদিও আমেরিকার আপত্তিতে সেই প্রয়াস থমকে যায়। এরপর আরব-ইহুদি সংঘাত থামাতে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করে ফ্রান্স। সেটিও মার্কিন ভেটোয় আটকে গিয়েছে। বলে রাখা ভাল, কোনও বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতি দিতে গেলে পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের সহমতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু কোনও প্রস্তাব পেশ করতে হলে নয়টি সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন। তবে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের কেউ যদি ভেটো প্রয়োগ করে তবে সেই প্রস্তাব পাশ হবে না। ফলে রাষ্ট্রসংঘ ও আমেরিকার মধ্যে মতোবিরোধ ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার গাজায় লড়াই থামানোর জন্য ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয় যে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করেছেন বাইডেন। ওই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মিশর ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ওয়াশিংটন। তবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন সাফ জানিয়েছে, “আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইজ়রায়েলের।” বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে তেমন জোর দিচ্ছে না আমেরিকা। পালটা, নেতানিয়াহু সরকারের পক্ষেই সওয়াল করছে হোয়াইট হাউস। মঙ্গলবার বাইডেনের শান্তির প্রস্তাবের পরও ৬২টি যুদ্ধবিমান থেকে গাজায় প্রায় ১০০টি মিসাইল ছুঁড়েছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। তাদের নিশানা ছিল ‘মেট্রো’। বলে রাখা ভাল, গাজায় মাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে হাতিয়ার ও যোদ্ধাদের চলাফেরার পথ তৈরি করেছে জঙ্গি সংগঠন হামাস। ওই নেটওয়ার্ককেই ‘মেট্রো’ নামে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।