সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের অফিস থেকে ‘ইলেকট্রনিক ওযারফেয়ার’ বা প্রযুক্তিগত লড়াই চালাচ্ছিল জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজায় আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ব্যবহৃত বিল্ডিং গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এবার এমনটাই দাবি করেছে ইজরায়েল (Israel)।
[আরও পড়ুন: সংঘাতের আবহে সুইজারল্যান্ডে বাইডেন-পুতিন বৈঠক ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]
গত মে মাসের ১৫ তারিখ গাজার ‘জালা টাওয়ার’ নামের একটি বহুতলে বোমা ফেলে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান। ভেঙে গুঁড়িয়ে যায় বিল্ডিংটি। সেখানে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এবং আল জাজিরার মতো আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস ছিল। ফলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইজরায়েলের সেনাবাহিনীকে। এবার সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে ইজরায়েল দাবি করেছে যে ওই বিল্ডিংটি প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস ব্যবহার করছিল। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের অফিসে যান রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের প্রতিনিধি ও আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত কূটনীতিক গিলাদ এরদান। তাঁর দাবি, ওই বিল্ডিং থেকে ‘ইলেকট্রনিক ওযারফেয়ার’ চালাচ্ছিল হামাস। বিশেষ করে ইজরায়েলী মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ‘আয়রন ডোম’-কে কীভাবে ফাঁকি দিয়ে রকেট হামলা চালানো যায় সেই প্রযুক্তি তৈরি করছিল জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। বলে রাখা ভাল, আল আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান। পাশাপাশি, এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান। যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসাবে জানেন। এই জায়গায় এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত হয়েছে।