সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোলান মালভূমিতে রকেট হামলায় ১২ শিশু মৃত্যুর বদলা নিল ইজরায়েল। পালটা হামলায় খতম ইরান মদতপুষ্ট হেজবোল্লার অন্যতম কমান্ডর ফুয়াদ শুক্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুয়াদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল সামরিক বাহিনী। যদিও হেজবোল্লার তরফে এখনও ইজরায়েলের দাবির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
ইজরায়েল সেনার তরফে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান মঙ্গলবার লেবাননের বেইরুটে হেজবোল্লা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রথম সারির কমান্ডার ফুয়াদ। এই ব্যক্তি একাধিক সশস্ত্র হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। গোলানের মাজদাল শামস শহরে রকেট হামলায় ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনাতেও মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই হেজবোল্লা কমান্ডার। শুধু তাই নয়, ইজরায়েল সেনার দাবি, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল এই ফুয়াদ। এমনকি ৯০-এর দশকে ইজরায়েলের ৩ সেনা আধিকারিক খুনে যুক্ত ছিল সে।
[আরও পড়ুন: সাসপেন্ড করেছিল স্কুল, রাগে মাস্ক পরে ক্লাসে ঢুকে সহপাঠী ও শিক্ষককে কোপাল পড়ুয়া!]
আনুমানিক ৬০ বছর বয়সি এই ফুয়াদ। ১৯৮৩ সালে বেইরুটে মার্কিন সেনার উপর হামলায় যুক্ত ছিল সে। সেই ঘটনায় ২৪১ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়। তাঁর খোঁজ পেতে ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করে আমেরিকা। হেজবোল্লার প্রধান হাসান নসরুল্লার মূল পরামর্শদাতা ও জঙ্গি সংগঠনের নীতি নির্ধারক ফুয়াদ। ১৯৮২ সালে মুগনিয়ে ও মুস্তফা বদরুদ্দিনের পাশে থেকে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ফুয়াদ। ২০১৬ সালে সিরিয়ায় নিহত হন হিজবুল্লাহর অভিজ্ঞ কমান্ডার মুস্তফা।
[আরও পড়ুন: কেজরির মুক্তির দাবিতে ইন্ডিয়া জোটের সভা, বিজেপির বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে শরিক নেতৃত্বের]
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ শুরু হয়েছে ইজরায়েল ও গাজার। সেই লড়াইয়ে হামাসকে প্রত্যক্ষভাবে মদত দিয়ে চলেছে হেজবোল্লা। শনিবার গোলানে হেজবোল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মঙ্গলবার থেকে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়েছিল ইজরায়েল ও হেজবোল্লার মধ্যে।