সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাস পূর্ণ হল হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের। সময়ের সঙ্গে আরও ভয়ংকর হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াই। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ত্রাণ ও পণবন্দিদের স্বার্থে এবার গাজায় ‘কৌশলগত বিরতি’র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে এমনই খবর।
সোমবার এই বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় ‘কৌশলগত বিরতি’ নিয়ে বিবেচনা করবে ইজরায়েল। সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো ও পণবন্দিদের বেরিয়ে আসার পথ প্রশস্ত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। তবে এও জানা গিয়েছে, তিনি যুদ্ধবিরতির আবেদন নস্যাৎ করেছেন।
এদিকে, গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের হামলায় ক্রমশ বাড়ছে প্যালেস্তিনীয়দের মৃতের সংখ্যা। যা নিয়ে নেতানিয়াহুর প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু এই লড়াই যে এখন ইজয়ারেলের অস্তিত্বের লড়াই তা আগেই জানিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তাই গাজার বুক থেকে হামাসকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলার পরই নিশ্বাস নেবে ইজরায়েলের সেনা।
[আরও পড়ুন: খলিস্তান সংঘাতের মাঝেই কানাডায় উড়ল ‘হিন্দুত্বের ধ্বজা’]
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরালেয়ের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। সেই আক্রমণে প্রাণ হারান ১ হাজার ৪০০ ইজরায়েলি। পণবন্দি বানানো হয় দুশোর উপর মানুষকে। যার প্রত্যুত্তরে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন নেতানিয়াহু। এর পরই গাজায় (Gaza) হামলা শুরু করে ইজরায়েলের সেনা। ফলে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার প্যালেস্তিনীয়। এক মাস পার করে আজ মৃত্যু মিছিল ১০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার নিষ্পাপ শিশু। এই কদিনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা ভূখণ্ড। চারদিকে শুধু দম বন্ধ করা বারুদের গন্ধ, কান ফাটানো বোমার আওয়াজ, স্বজনহারার কান্না। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ থামানোর কথা মানছে না ইজরায়েল।
বলে রাখা ভালো, উত্তর এবং দক্ষিণ – লম্বালম্বি ভাগ হয়ে গিয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের মধ্যে বহু বিতর্কিত গাজা ভূখণ্ড (Gaza Strip)! এভাবেই সোমবার গাজার একাংশ দখলের দাবি জানিয়েছেন ইজরায়েল সেনাবাহিনীর প্রধান ড্যানিয়েল হাগারি। উত্তর গাজার ইতিমধ্যেই বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে। আর ২ দিনের মধ্যেই গাজায় ঢুকে পড়বে গোটা সেনাবাহিনী, এমনই দাবি করেছেন তিনি।