সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস পেরিয়ে গেলেও হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ থামার নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল গাজার আল শিফা হাসপাতালের ছবি যেন নতুন করে যুদ্ধের নিষ্ঠুর কর্কশতাকে তুলে ধরছে। লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ইতিমধ্যেই দুই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে আরও ৪৫টি শিশুকে নিয়ে। কেননা ইজরায়েলি হামলায় জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহও থমকে গিয়েছে! এর মধ্যেই ইজরায়েলি সেনা ঘোষণা করেছে, ওই শিশুদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত।
তেল আভিভের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, রবিবারই ওই শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গোটা গাজা (Gaza) ভূখণ্ডেই বিদ্যুৎ সংযোগ আগেই ছিন্ন করে দিয়েছিল ইজরায়েল (Israel)। এই পরিস্থিতিতে ভরসা ছিল জেনারেটরের উপরই। কিন্তু জ্বালানি সংকটে এবার সেগুলোও জবাব দিচ্ছে। হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা অসহায় শিশুদের সামনে তাই কার্যতই মৃত্যুর হাতছানি। এই অবস্থায় ভরসা জোগাচ্ছে ইজরায়েলি সেনার আশ্বাস।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে শহরে নাশকতার ছক? পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার ২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী]
এদিকে রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলি বসতি স্থাপনের কার্যকলাপের নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ১৪৫টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিল। ভোটদানে অনুপস্থিত ছিল ১৮টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সাতটি দেশ। সংঘর্ষ শুরুর পর কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। এই ৩৫ দিনে বার বার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করেছে ইজরায়েলি সরকার। আর বার বার সামনে এসেছে অসহায় মানুষদের বিপণ্ণতার ছবি।