সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। কিন্তু এবার রণক্ষেত্র থেকেই নাকি হাজার হাজার সেনা সরিয়ে নিতে চলেছে ইহুদি দেশটি। যেখানে প্রায় প্রতিদিনই লড়াই না থামানোর হুঙ্কার দিচ্ছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? উঠছে সেই প্রশ্ন।
রয়টার্স সূত্রে খবর, এই বিষয়ে ইজরায়েলের (Israel) এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরাল করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজা থেকে সেনাবাহিনীর ৫টি ব্রিগেড অথবা কয়েক হাজার সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। কয়েকজনকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সংরক্ষিতদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ফলে গাজায় সংঘর্ষের তীব্রতা কমলেও যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদি হবে। তবে সেনা সরালেও যে লড়াই থামছে না তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, গাজা থেকে ফৌজের একাংশকে সরিয়ে লেবানন সীমান্তে পাঠানো হবে। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবোল্লার গতিবিধি নজরে রেখেই এই সিদ্ধান্ত। অনেকেই আবার বলছেন, নতুন বছরে অর্থনীতিকে মজবুত করতে আংশিক সেনা প্রত্যাহারের পথে হাঁটছেন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। প্রাণ হারান অন্তত দেড় হাজার মানুষ। জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি হন ২৫০ জন। এর পর অপারেশন ‘আয়রন সোর্ড’ শুরু করে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস বা ইজরায়েলের সেনা। গত দুমাসে বোমার আঘাতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়ে গিয়েছে গাজা। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ হাজার প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, রবিবার রাতে মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী । ওই অপারেশনে নিহত হয়েছে হামাসের কমান্ডো বাহিনী ‘নুখবা ফোর্স’-এর কমান্ডার আদেল মাসামাহ। ৭ অক্টোবরের হামলার নেতৃত্বে ছিল এই জেহাদি। এর আগেও হামাসের একাধিক শীর্ষনেতাকে খতম করেছে ইজরায়েল।