সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য। গাজা ভূখণ্ড পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। ঘনঘন বোমাবর্ষণে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী একফালি জায়গাটিতে বইছে রক্তগঙ্গা। আর এই নারকীয় ঘটনাবলীর ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ ছিল ইজরায়েলের বুকে হামাসের ভয়াবহ হামলা। প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার নামে ৭ অক্টোবর সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটির নারকীয় ইহুদি হত্যালীলায় কেঁপে ওঠে গোটা বিশ্ব। এবার এহেন হামাসের মুখোশ খুলে দিলেন সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজনের ছেলেই।
সম্প্রতি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী বা ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF)। ওই ভিডিও পোস্টে হামাসকে নিয়ে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর কথা বলেছেন হামাসের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম শেখ হাসান ইউসুফের পুত্র মোসাব হাসান ইউসুফ। তাঁর কথায়, “নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই যুদ্ধের জিগির তোলে হামাস। যখনই তাদের টাকার দরকার হয়, তখনই এই যুদ্ধের খেলা শুরু করে তারা। নিজেদের উদ্দেশ্যপূরণে শিশুদের বলি দিচ্ছে হামাস।” হামাসের ডেরা থেকে পালিয়ে আসা মোসাব হাসান ইউসুফ আরও বলেন, “প্যালেস্তিনীয়দের রক্ত ঝরাতে চায় না ইজরায়েল। গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাস রয়েছে। কিন্তু তারা ইজরায়েলের উপর দায় চাপাচ্ছে। যুদ্ধের দায় হামাসের। নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের রক্ত লেগে রয়েছে হামাসের হাতে।” প্রসঙ্গত, এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
[আরও পড়ুন: হামাসের থেকে মুক্ত হলে গাজার দায়িত্বে আন্তর্জাতিক বাহিনী! ব্লিঙ্কেনের কথায় জল্পনা তুঙ্গে]
উল্লেখ্য, গত মাসে গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় পাঁচশোর বেশি মানুষের! মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। হামাসের অভিযোগ ওই হামলার পিছনে রয়েছে ইজরায়েলি সেনা। যদিও তেল আভিভ কাঠগড়ায় তুলছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠীটিকেই।
এদিকে, উত্তর গাজায় (Gaza) চলা তীব্র সংঘাতে বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের ৯ সেনা জওয়ানের। গুরুতর আহত আরও দুই বলে জানিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের বুকে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে তেল আভিভ। গত শনিবার রাত থেকে গাজার ভুখণ্ডে ঢুকতে শুরু করেছে ইহুদি দেশটির ফৌজ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক হামাসের ডেরা। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের বিশাল ট্যাঙ্কবাহিনীও প্রবেশ করেছে সেখানে। উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে যুক্ত করা সালা-আল-দিন রোডে টহল দিচ্ছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক। যার ফলে গাজার ওই লাইফলাইন সড়কটি কার্যত অবরুদ্ধ।