সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে গাজায় আক্রমণ তীব্র করছে ইজরায়েল। আমেরিকার হুঁশিয়ারি, আন্তর্জাতিক মহলের হাজারো চাপ কোনও কিছু টলাতে পারছে না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। হামাসকে সমূলে বিনাশ করার সিদ্ধান্তে অনড় তিনি। সেই লক্ষ্যে রবিবার মধ্য গাজায় 'অগ্নিবর্ষণ' করেছে ইজরায়েলি বিমানবাহিনী। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। পাশাপাশি ঘরে ও বাইরে চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহুর উপর। এবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রক থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের অন্যতম নেতা বেনি গানৎজ।
আট মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবু থামার নাম নেই হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের। ইতিমধ্যেই গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দার মুখে পড়েছে তেল আভিভ। তবু হামাস নিধনে উত্তর থেকে দক্ষিণ গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। রবিবারও মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় বোমা বর্ষণ করে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই হামলায় ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে এই ঘটনায় আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
[আরও পড়ুন: মৃত্যু যখন দোরগোড়ায়… রাইসির শেষ ভিডিও প্রকাশ করল ইরান]
এদিকে, শনিবার মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রক মন্ত্রী বেনি গানৎজ। তাঁর অভিযোগ, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে? শাসনভার কার হাতে যাবে? পণবন্দিরাই বা ঘরে ফিরবেন কবে? এইসব প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই নেতানিয়াহুর কাছে। এমনকি গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি জওয়ানদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা নিয়েও নাকি কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর কাছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেতানিয়াহু যদি এই সব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে না দেন তাহলে ইস্তফা দেবেন গানৎজ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। ওই আক্রমণে মৃত্যু হয় ১২০০ জন ইজরায়েলির। জেহাদিদের হাতে পণবন্দি হন ২৪০ জন। গত নভেম্বর মাসে সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে মুক্ত হয়েছিলেন ১০৫ জন। কিন্তু এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন ১৩২ জন। ফলে যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে অপেক্ষা। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে পণবন্দিদের পরিবারের। গত এপ্রিল মাসেই দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবি নিয়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ফলে এবার বন্দিদের দ্রুত ঘরে ফেরাতে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে।