সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ করল ইজরায়েলের বায়ুসেনা। শুক্রবার প্যালিস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদের ঘাঁটিতে একের পর এক বোমা ফেলে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর ফাইটার জেটগুলি। ওই হামলায় সংগঠনটির এক শীর্ষ কমান্ডার-সহ মৃত্যু হয়েছে দশজনের।
সিএনএন সূত্রে খবর, টুইটারে হামলার কথা জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। প্যালেস্তিনীয় ইসলামিক জেহাদের মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই গাজায় গ্রেপ্তার হয়েছে এক জঙ্গি নেতা। তার পর থেকেই আটঘাট বাঁধছিল ইজরায়েল (Israel)। চারদিন আগেই গাজার যাওয়ার দু’টি ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে তারা। গাজা সীমান্ত লাগোয়া নাগরিকদের যাতায়াত করা নিয়ে হুঁশিারিও দিয়েছে ইজরায়েলি সরকার। এক বিবৃতি জারি করে ইসলামিক জেহাদ জানিয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় তাদের কমান্ডার তায়সির আল জাবারি নিহত হয়েছে। সংগঠনটির সশস্ত্র বাহিনী ‘কাডস ব্রিগেড’-এর নেতৃত্বে ছিল জাবারি।
[আরও পড়ুন: রকেট হামলার পালটা, গাজায় হামাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান]
প্যালেস্তিনীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ইজরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের একটি শিশুও। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আইডিএফ সেনার উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জঙ্গিনেতা জাবারি। তাই আগেভাগেই তাকে খতম করা হয়েছে। একইসঙ্গে জঙ্গি সংগঠনটির দু’টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক স্কোয়াডও ধ্বংস করা হয়েছে। এদিকে, জাবারির মৃত্যুতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে একর পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিরা। সবমিলিয়ে, ফের গাজায় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সংঘর্ষে ২৫৬ জন প্যালেস্তানীয়র মৃত্যু হয়।