সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাড়ি আর ফেরা হয়নি তার। ইজরায়েল বুধবার যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটতে রাজি হওয়ায় পণবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস ও তার শাখা গোষ্ঠীগুলো। কিন্তু তার পরই মৃত্যু হয়েছে পণবন্দি ৭৬ বর্ষীয় ইজরায়েলি বৃদ্ধা হানা কাৎজিরের। মারা গিয়েছেন তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র এলাদও। তাঁদেরও আর বাড়ি ফেরা হল না।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে (Israel) হামলার সময়ই তাঁদের অপহরণ করেছিল হামাস (Hamas)। যদিও তার পর থেকে পণবন্দি হিসেবেই ছিলেন কাৎজির। যদিও হামাসের দাবি, তারা আগেই ওই বৃদ্ধাকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের তরফে সাড়া মেলেনি। হামাস-সঙ্গী আল কাদস ব্রিগেডস নামের জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, ‘আমরা আগেই ওঁকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম মানবিকতার কারণে। কিন্তু শত্রুরা বধির ছিল। আর এর ফলে ওঁকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে।’ সেই সঙ্গে তাদের দাবি, ওই বৃদ্ধা ও অন্যান্য বন্দিদের দেখভাল করেছে হামাস।
[আরও পড়ুন: ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে রণক্ষেত্র মারাকানা, পুলিশের লাঠি, প্রতিবাদে মাঠ ছাড়লেন মেসি]
প্রসঙ্গত, এমাসের শুরুতে কাৎজিরের একটি ভিডিও শেয়ার করেছিল ইসলামিক জেহাদ। সেখানে বলা হয়েছিল, তারা ওই বৃদ্ধাকে ও তাঁর ১২ বছরের ছেলেকে মানবিক ও চিকিৎসাগত প্রয়োজনীয়তার কারণে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
বুধবার সকালে ইজরায়েলের ক্যাবিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হয় ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার হামাসের প্রস্তাব মেনে চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে এই সংঘর্ষে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যুদ্ধবিরতির কথা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির সময় জানানো হবে। এবং তা থাকবে চার দিন। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হল কাৎজিরের। আর ‘বাড়ি’ ফেরা হল না তাঁর।