সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার তেল আভিভে ভয়ংকর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাউথি (Houthi)। এবার 'জবাব' দিল ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধবিমান। হোদাইয়া বন্দরে ওই হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ওই বন্দরে অতর্কিতেই হানা দেয় ইজরায়েলি সেনা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। এটাই ইজরায়েল থেকে ২ হাজার কিমি দূরে অবস্থিত ইয়েমেনে (Yemen) প্রথম ঘোষিত হামলা নেতানিয়াহুর দেশের। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ''ইজরায়েলি নাগরিকদের রক্তের মূল্য চোকাতেই হবে।'' সেই সঙ্গে তিনি হাউথিদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, ফের যদি এই ধরনের হামলা চালানো হয় এভাবেই জবাব দেবে ইজরায়েল।
[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে কীভাবে যান নিয়ন্ত্রণ, জেনে নিন বন্ধ থাকবে কোন কোন রাস্তা]
শুক্রবার ইজরায়েলের মার্কিন দূতাবাসের সামনে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলবাহিনী। খানিক পরেই আইডিএফের তরফে জানানো হয় দূতাবাসের সামনে ড্রোন হামলা হয়েছে। সেখান থেকেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে ৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। অনেকে আতঙ্কেও অসুস্থ বোধ করেন। হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হাউথিরা। সশস্ত্র সংগঠনটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে জানায়, “গাজায় যে হত্যালীলা চালাচ্ছে ইজরায়েল এটা তারই জবাব। আমাদের সামরিক অভিযান সফল হয়েছে। একটি নতুন ড্রোন চালানো হয়েছে যা শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হয়েছে।” ওই হামলায় একজনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে।