সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আট মাস ধরে তীব্র লড়াই চলছে গাজায়। হামাস নিধনে গোটা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। গাজার পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে লেবানন সীমান্ত। হামলা পালটা হামলা জারি রয়েছে। এবার দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে খতম হয়েছে হেজবোল্লার এক শীর্ষ কমান্ডার!
গাজা যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট হেজবোল্লা গোষ্ঠী। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ইজরায়েলে অন্তত ১২টি রকেট লেবাননের জঙ্গি সংগঠনটির। যার পালটা দিয়ে লেবাননের অন্তত ৪০টি এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেও। সেই আক্রমণে নিকেশ হয় হেজবোল্লার একাধিক নেতা। এএফপি সূত্রে খবর, গতকাল, মঙ্গলবার ফের একবার তাদের ডেরায় হামলা চালায় তেল আভিভ। আর তাতেই নিকেশ হয়েছে হেজবোল্লার এক শীর্ষ কমান্ডার।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচের ভিডিও করতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর গুলি! করাচিতে ইউটিউবারের মৃত্যুতে বিতর্ক]
এই ঘটনার পর লেবানন সেনার একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হেজবোল্লার বহু সদস্য নিহত হয়েছে। মঙ্গলবারের হামলায় যে নিহত হয়েছে সে এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার ছিল। ফলে লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষের ধার আরও বেড়েছে। অন্য আরেকটি সূত্রে খবর, ইজরায়েলের হামলায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে হেজবোল্লা ও ইজরায়েলর মধ্যে গুলির লড়াই চলছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসেই শুরু থেকেই হামলা-পালটা হামলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। ইরানের দূতাবাসে ইজরায়েলি হামলার পর থেকে ইরান-ইজরায়েলের একে অপরকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায়। তার পর আসরে নামে লেবাননের হেজবোল্লাও। গত মে মাসে হুমকি দিয়ে সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছিল, বড় ‘সারপ্রাইজ’ নাকি অপেক্ষা করছে ইজরায়েলের জন্য। এবার তারা প্রস্তুত হচ্ছে ফের একবার ইজরায়েলের বুকে ভয়ংকর আঘাত হানার।
এক অনুষ্ঠানের পর টেলিভিশনে হেজবোল্লার সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান নাসরাল্লাহ কড়া হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের শক্তিশালী প্রতিরোধের মোকাবিলা করতে হবে আপনাদের। সেই সারপ্রাইজের জন্য অপেক্ষা করুন।” গাজায় হামলা তেল আভিভের হামলার কথা উল্লেখ করে নাসরাল্লাহ বলে,”ইজরায়েলের নেতারাও মেনে নিয়েছে এত মাস গাজায় যুদ্ধ করে তারা কোনও লক্ষ্য়ই পূরণ করতে পারেনি। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ যেভাবে প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিচ্ছে তা ইজরায়েলের জন্য বড় ক্ষতি।" বিশ্লেষকদের মতে, এদিনের হামলার প্রতিশোধ নিতে এবার ইজরায়েলে ফের আগুন ঝরানোর পরিকল্পনা করছে হেজবোল্লা।