সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের (Hamas) অধীনে থাকা গাজা (Gaza) স্ট্রিপে তীব্র আক্রমণ হানল ইজরায়েলের (Israel) বায়ু এবং স্থলসেনা। চারদিনের ভয়াবহ বায়ুযুদ্ধের পরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন (Palestine) দু’পক্ষের কাছেই আন্তর্জাতিক আবেদন এসেছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু সেই আবেদন তোয়াক্কা না করছে না কোনও পক্ষই।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলে রেখেছিলেন, প্যালেস্তাইনের জঙ্গি দল তাদের আক্রমণে রাশ না টানলে ইজরায়েলও টানা হামলার রাস্তায় এগোবে। সেই মতোই কাজ করছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। শুক্রবার সকাল-সকাল সামরিক বিমান, ট্যাঙ্ক এবং কামান নিয়ে আক্রমণ চালায় ইজরায়েল। এমন একটা সময়ে, যখন দেশে আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে বিবাদ সাম্প্রতিক অতীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
তার আগে ফেসবুকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু লিখেছিলেন, ‘‘আমরা হামাসের কাছ থেকে চড়া মূল্য আদায় করে ছাড়ব। আমরা এখন সেটা করছি, এবং ভবিষ্যতেও আরও শক্তির সঙ্গে ঠিক সেটাই করে যাব। এখনও শেষ শব্দ উচ্চারিত হয়নি। যতদিন দরকার, ততদিন চলবে এই অভিযান।’’ ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে গত বৃহস্পতিবার হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন একশো জনেরও বেশি প্যালেস্তানি এবং সাত জন ইজরায়েলি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্যালেস্তানিদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৩৭-এ পৌঁছেছে।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে চলছে নিরন্তর সংঘর্ষ! রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আড়ালে কোন ইতিহাস?]
তীব্র প্রতিঘাতে গাজার বাড়িঘর হয় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে, না হলে ভগ্নপ্রায়। ইজরায়েল-গাজা হিংসা থামানোয় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এসেছে মিশর। সে দেশের এক রাষ্ট্রদূত এসে পৌঁছেছেন ইজরায়েলে। তাঁর লক্ষ্য, দু’তরফের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংঘর্ষে ইতি টানা। এই পদক্ষেপের পিছনে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনও রয়েছে। রবিবার এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাষ্ট্রসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল।
এদিকে, ইজরায়েল-গাজা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নেটফ্লিক্সের তারকা অভিনেত্রী মাইসা আবদ এলহাদি। ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, গত রবিবার ইজরায়েলের হাইফা শহরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ইজরায়েলি বাহিনীর গুলি এসে লাগে তাঁর পায়ে। অ্যাম্বুল্যান্সে শোওয়া তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে গৃহহীন হতে বসেছে বহু প্যালেস্তানি পরিবার। তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। সেরকমই এক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মাইসা।