সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি অতি শক্তিশালী রাডার, যা ধেয়ে আসা রকেট শনাক্ত করতে পারে। একটি উন্নত কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, যা কোন দিক থেকে আক্রমণ হবে, ঠাহর করতে পারে। একটি অত্যাধুনিক ইন্টারসেপ্টর যা কোনও রকেট আছড়ে পড়ার আগেই তাকে ধ্বংস করতে পারে। শুধু এই সবই নয়। ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেম এতটাই ক্ষমতাবান যে, তার ‘রিস্ক অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’-এর কম্পিউটার অঙ্ক কষে বলে দিতে পারে, আকাশ-পথের কোনও আক্রমণে জনজাতি বিপন্ন হতে চলেছে কি না। আর এহেন হাতিয়ার দিয়েই প্রতিপক্ষ হামাসের রকেট-হামলা সফলভাবে রুখে দিতে পেরেছে ইজরায়েল।
প্রথমদিকে সামান্য হলেও পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিল এই ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’। সাধারণত যে ‘আয়রন ডোম’ রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে আটকে দিতে পারে, রকেট-মর্টার-গোলা-ড্রোনকে গুলি করে নামাতে পারে, ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিমেষে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে-সেই ভূমি থেকে আকাশ স্বল্প পাল্লার ‘অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম’ই প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি-গোষ্ঠীর আকাশপথে প্রাথমিক হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল। তার কারণ, হামলা ছিল অতর্কিত। কোনওভাবেই আগে থেকে তার কোনও আভাস মেলেনি। তবে যখন বোঝা গিয়েছে, সময় থাকতে থাকতেই প্রতি-আক্রমণ করে হামাসের হামলা প্রতিহত করেছে ইজরায়েল। বরাবরের মতো এবারও কাজে এসেছে তাদের বিশ্ববিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেম।
[আরও পড়ুন: হামাসের হামলায় মৃত মার্কিনরা, ইজরায়েলে যুদ্ধবিমান-রণতরী পাঠাল ক্ষুব্ধ আমেরিকা]
ইজরায়েলি সেনাসূত্রে দাবি, এই ‘আয়রন ডোম’-এর সাহায্যে তারা গাজা থেকে উড়ে আসে ৫,০০০-এরও বেশি রকেট হামলা আটকে দিতে পেরেছে। যা হলে, মৃত্যু-মিছিল আরও বাড়ত। বাড়ত ধ্বংসলীলার মাত্রাও।
তবে প্রচুর গুণাগুণ থাকলেও এ কথাও একইভাবে সত্যি যে, এই ‘আয়রন ডোম’ সিস্টেমের কিছু ত্রুটিও রয়েছে। সব ধরনের বিপদ প্রতিহত করা এটির পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন রাডারের চোখকা ফাঁকি দিয়ে অল্প উচ্চতায় উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে পারে না এই হাতিয়ার। ২০১১ সালে এই ডোম সিস্টেম কাজ করা শুরু করে। দু’টি ইজরায়েলি সংস্থা, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস এবং ইজরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিস, এটির স্থপতি। তবে আমেরিকা থেকেও প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়া হয়েছিল।