সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধুত্বের খোলস ছেড়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পাকিস্তান। ইরানের মাটিতে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেল আভিভকে নিশানায় নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ, গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ইজরায়েল। পাশাপাশি ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হয়েছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এদিকে সূত্রের খবর, ইজরায়েল এই হামলার যোগ্য জবাব পাবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।
আমেরিকা তো বটেই ইজরায়েলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানের। তবে ইরান প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ায় তেহরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে ইজরেয়েলের এই হামলায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পাকিস্তান। হামলার নিন্দা করে শনিবার পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ''ইরানের উপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছে পাকিস্তান। এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার রাস্তাকে নষ্ট করছে। এই হামলায় আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। যা হচ্ছে তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ইজরায়েল।’ একইসঙ্গে পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, ''আমরা রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানাব তারা যেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করে এবং ইজরায়েলের বেপরোয়া ও অপরাধমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়।" পাশাপাশি এই ইস্যুতে এক্স হ্যান্ডেলে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লেখেন, 'শান্তির পথ খুঁজতে ইরান ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির পাশে রয়েছে পাকিস্তান। এবং হিংসা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আবেদন জানাচ্ছে।'
পাকিস্তানের পাশাপাশি ইজরায়েলের হামলার নিন্দায় সরব হয়ে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ইজরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করে জানানো হয়েছে, হামলা ও পালটা হামলার পথ ছেড়ে দুই পক্ষ যে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় সংযমের পথে হাঁটে। অন্যদিকে হামলার পর ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকা জানিয়েছে, ”আমরা ইরানকে পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে তাদের তরফে কোনও রকমের প্রত্যুত্তর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষায় বাধ্য করবে আমেরিকাকে।”
উল্লেখ্য, তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বদলা নিতে ফুঁসছিল ইজরায়েল। ঘনাচ্ছিল পালটা আক্রমণের ‘সিঁদুরে মেঘ’। অবশেষে শনিবার ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে একশো এফ-৩৫আই জেটের সাহায্যে হামলা চালাল তেল আভিভ। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে, তিন দফায় হামলা চালিয়েছিল নেতানিয়াহুর দেশ। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। হামলার কথা ঘোষণা করে আইডিএফ বিবৃতি জানায়, ‘আমরা ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছি।’ ইরান ও আমেরিকার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফার আক্রমণে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে বায়ুপথের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পরের দুই দফায় যাথাক্রমে মিসাইল ও ড্রোন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।