ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মানুষের জীবনে চাঁদ নিয়ে ফ্যান্টাসির শেষ নেই। চাঁদের বুড়ির চরকা কাটার গল্প এখনও ছেলেবেলাকে সুড়সুড়ি দিয়ে জাগায়। শিশুদের মন ভোলানো ছড়া, গান তো বটেই, চাঁদ মানুষের জীবনে কখনও যৌবনের গতি বাড়িয়েছে। কখনও অ্যাডভেঞ্চার মন তোলপাড় করে জাগিয়ে তুলেছে সুইসাইডাল টেনডেন্সি। যাকে আত্মউৎসর্গ বলতে চেয়েছেন দার্শনিকরা। তাঁদের মতে, পূর্ণ চাঁদের জ্যোৎস্নার যে টানে জোয়ারের জল বাড়ে, সেই জ্যোৎস্নায় চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকলে শরীর থেকে কখনও কখনও আত্মা বেরিয়ে আসতে চায়।
[আরও পড়ুন: দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে পারে কাশ্মীর, সংসদে ইঙ্গিত অমিত শাহর]
কত শত রূপকথা চাঁদকে ঘিরে। যত দিন যাচ্ছে তত পৃথিবী থেকে দূরে, আর চাঁদের টানে তার কাছে পৌঁছচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে তার অবতরণ সরাসরি দেখানো ব্যবস্থা হচ্ছে। হাজির থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অভিযান নিয়ে মানুষের মনে, বিশেষ করে শিশু-কিশোরমনে আগ্রহ আরও বাড়াতে চাঁদকে নিয়ে বাংলার নানা রূপকথার প্রসঙ্গ টানল ইসরো। তারা আহ্বান জানিয়েছে, দেশজুড়ে কার কাছে চাঁদের কেমন গল্প রয়েছে তা জানানোর।
চাঁদকে নিয়ে আপনার ছেলেবেলার গল্পটা কী? জানান আমাদের। সেরা গল্প ঠাঁই পাবে ইসরোর টুইটার হ্যান্ডলে।
ইসরোর টুইটার হ্যান্ডলে এ কথা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, “চাঁদ নিয়ে শিশুমনে কল্পনার শেষ নেই। কখনও সে জানালায় বসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কখনও ঠাকুরমা, দিদিমার বলা চাঁদের রূপকথার বুননে মশগুল হয়ে পড়ে। বাংলায় এমন জনপ্রিয় রূপকথার অন্ত নেই।” এরপরই ইসরোর আহ্বান, “চাঁদকে নিয়ে আপনার ছেলেবেলার গল্পটা কী? জানান আমাদের।” সেরা গল্প ঠাঁই পাবে ইসরোর টুইটার হ্যান্ডেলে। এরপর আর একটা মুহূর্ত দেরি করেনি কেউ। একের পর এক গল্প, রূপকথা পৌঁছতে শুরু করে ইসরোর টুইটার হ্যান্ডলে।
এদিকে আজ, মঙ্গলবারই পৃথিবীর পঞ্চম ও শেষ কক্ষপথে চলা শুরু হচ্ছে চন্দ্রযানের। এরপর থেকেই শুরু হবে তার পরীক্ষাপর্বের পালা। এই পঞ্চম কক্ষপথই সবচেয়ে দীর্ঘ। পৃথিবীর চারপাশে মোট পাঁচ পাকে উপবৃত্তাকারে এখন ঘুরছে চন্দ্রযান। সবচেয়ে শেষে ল্যাপটা পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে তাকে সবচেয়ে দূরে নিয়ে যাবে। করে দেবে চাঁদের কাছাকাছি।
[আরও পড়ুন: রাম মন্দির চত্বরে বিগত ৮৫ বছর পা পড়েনি মুসলিমদের, জানাল নির্মোহী আখড়া]
দীর্ঘ কক্ষপথ হওয়ার দরুন তার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতেও বেশ সময় লাগবে। তবে একটি তথ্য জেনে রাখা জরুরি। দীর্ঘ কক্ষপথ অতিক্রম করলেও চন্দ্রযান যখন ঘুরে পৃথিবীর কাছে আসছে তখনই সে তার পথের দূরত্ব কমাচ্ছে। আবার চাঁদের দিকে যখন যাচ্ছে তখন তার দূরত্বও বাড়াচ্ছে। এভাবেই চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছচ্ছে সে। আগামী ১৪ আগস্ট রাতে শেষ লাফে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে চন্দ্রযান। যাকে মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ট্রান্স লুনার ইনসারশন। চাঁদও তাকে লুফে নেবে নিজের মাপের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জোরে। ২০ আগস্ট চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে সে। ৬ সেপ্টেম্বর মাঝরাতে আলতো লাফিয়ে নামার কথা চাঁদের মাটিতে।
The post চাঁদমামার গল্প লিখে পাঠাতে বলল ইসরো appeared first on Sangbad Pratidin.