গৌতম ব্রহ্ম: স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে বিধবা বলাটা অপমানজনক। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন। ‘দ্য বেঙ্গল অর্ফানেজেস অ্যান্ড উইডোজ হোমস’ (রিপিলিং) বিল, ২০২৩ নিয়ে বলতে গিয়ে বিধানসভায় এমন মন্তব্যই করলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্নাদেবীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। ফলে রত্নাদেবীর এই বক্তব্য অধিবেশন কক্ষেই অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। সতীর্থ বিধায়করা টেবিল চাপড়ে উৎসাহিত করে সমর্থন করেন শোভন-ঘরনী রত্নাকে।
এদিন ১৯৪৪ ও ১৯৫৬ সালের দু’টি আইনের তুলনা করেন রত্নাদেবী। ’৫৬ সালের আইনটির ক্ষেত্রে কয়েকটি সংশোধনের প্রস্তাবও রাখেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের বিধবা না বলার আরজি। রত্নাদেবীর বক্তব্য, মহিলাদের সুরক্ষার স্বার্থে মহিলা হোম মহিলাদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিচালন কমিটির মাথায় সমাজের বিশিষ্টজনদের থাকার কথা। স্বামী পরিত্যক্ত ও বিধবারা যাতে সমাজে মাথা উঁচু করে নিরাপদে থাকতে পারেন, অনাথ শিশুরা যাতে বাড়ির মতো পরিবেশে হোমে বড় হতে পারে, তার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে স্বেচ্ছামৃত্যুর পোস্ট গায়ক অনিন্দ্যর, ‘বন্ধু’কে সামলাতে কী করলেন ‘ক্যাকটাসে’র সিধু?]
দীর্ঘদিন ধরেই চলছে শোভন-রত্নার বিচ্ছেদ মামলা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মামলায় সাক্ষ্য দিতে না পারেন সেই কারণেই তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, অসত্য কথা বলছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনকী মিথ্যে কথা বলে নিরাপত্তা নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।