সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে তোলপাড়া রাজ্য। দোষ, পালটা দোষ চাপানোর রাজনীতি চলছে। এর মধ্যেই ছাত্রমৃত্যুর দায় বাম ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনের উপর চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এত বছর ধরে রক্ত নিয়ে খেলেও ওঁদের শান্তি হয়নি। একটা ছাত্রকে মেরে ফেলল।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই যাদবপুর কাণ্ডে সরব হন তিনি। মমতার কথায়, “যাদবপুরকে আমরা সম্মান করতাম। এখনও করি। কিন্তু দেখুন ওখানে একটা ছাত্রকে মেরে ফেলল সিপিএমের ইউনিয়ন।” তাঁর আরও কটাক্ষ, “বছরের পর বছর ধরে রক্ত নিয়ে খেলেও এদের শান্তি হল না। জীবনে বদলাবে না এরা।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবির পালটা দিয়েছেন বামনেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, “মমতার মদতপুষ্ট সংগঠনের ছেলেরাই এসব করেছে। এখন মুখোস খুলে যাওয়ার ভয়ে এসব বলছেন।”
[আরও পড়ুন: নাড্ডার বৈঠকে গরহাজির, মেজাজও হারাচ্ছেন, শুভেন্দু রেগে কেন? বিজেপিতে শুরু চর্চা]
গত ৯ আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় ছাত্রটির। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে মমতা বলেন, “আমি দুঃখিত, স্তম্ভিত। আমি সব জায়গায় গেলেও যাদবপুরে যাই না। ওরা পড়াশোনায় ভাল হতে পারে। কিন্তু শুধু পড়াশোনায় ভাল হলে হয় না। সবাই খারাপ না। পড়ুয়ারা ভাল। কিন্তু কয়েকটা আগমার্কা সিপিএম আছে। তারা মনে করে নতুন ছেলেমেয়েরা গ্রামবাংলা থেকে আসলেই অত্যাচার করা অধিকার। জামাকাপড় খুলে নিচ্ছে। আজও লজ্জা নেই।”