দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা আবহে ক্যাম্পাসে খাতা-কলমের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি চলতি বছরে বাতিল করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এই প্রতিষ্ঠানের স্নাতক-স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীরাও বাড়িতে বসে বই (Pen Book Exam) দেখে পরীক্ষা দেবেন। বিদেশের বহু প্রতিষ্ঠানে ‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সোমবার যাদবপুরে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে উত্তর লিখে তা কর্তৃপক্ষকে অনলাইনে পাঠিয়ে দেবেন। কোনও পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় তার বাড়িতে প্রশ্ন পাঠাবে। নির্দিষ্ট সেই ছাত্র বা ছাত্রীর কাছ থেকে উত্তরপত্র জোগাড় করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফল ঘোষণা হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। সেইমত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। করোনা আবহে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতেই হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। দেশের শীর্ষ আদালত রায় দেয় পরীক্ষা নিতে হবে। তবে কোনও রাজ্য মনে করলে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের পরেও পরীক্ষা নিতে পারবে। যাদবপুর কর্তৃপক্ষ এদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি মাসে ল্যাবরেটরি এবং সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। ইউজিসির (UGC) সম্মতি না আসা পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হবে না।
[আরও পড়ুন : খাস কলকাতা থেকে পাকড়াও রেলের সফটওয়্যার বিক্রির মূলচক্রী, উদ্বেগে কর্তারা]
আবুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গৌতম মাইতির বক্তব্য, “অতিমারির আবহকে কাজে লাগিয়ে UGC স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরীক্ষা নিতে বাধ্য করছে। আমরা ইউজিসির আচরণের নিন্দা করছি।” জুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পরীক্ষা নিতেই হবে। অধ্যাপক নীলাঞ্জনা গুপ্তর বক্তব্য, বাড়ি থেকে বহু দেশেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। যাদবপুরে হবে তাতে অস্বস্তির কিছু নেই।
The post কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথেই হাঁটল যাদবপুর, বাড়িতে বসে বই দেখে পরীক্ষা দেবেন পড়ুয়ারা appeared first on Sangbad Pratidin.