সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জরুরি ভিত্তিতে ২৪ ডিসেম্বর হতে চলা ৬৬তম বার্ষিক সমাবর্তন নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা দপ্তর কর্মসমিতির বৈঠক করার অনুমোদন দেওয়ার পরই ডাকা হয় বৈঠক। শুক্রবার বৈঠক ডেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের তরফে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া কর্মসমিতির বৈঠকটি হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ১০টা থেকে। জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষা দপ্তর একটি অ্যাজেন্ডা নিয়েই কর্মসমিতির বৈঠক করায় অনুমতি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে দুবার কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, দুবারই বৈঠক করায় অনুমতি দেয়নি উচ্চশিক্ষা দপ্তর। আর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া বৈঠক করলে তা বেআইনি হবে বলেও জানানো হয়েছিল। দপ্তরের নিষেধাজ্ঞায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল যাদবপুরের সমাবর্তনের ভবিষ্যৎ।
[আরও পড়ুন: অর্থের অভাবে মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, বিনা চিকিৎসায় চা শ্রমিকের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য]
কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, সমাবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বাধ্যতামূলক কর্মসমিতির বৈঠক করা। এই পরিস্থিতিতে গত ৮ ডিসেম্বর আচার্য নিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ও অন্যান্য আধিকারিকরা বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে সমাবর্তন, কর্মসমিতির বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে তার পরই কর্মসমিতির বৈঠক আয়োজনের আনুষ্ঠানিক চিঠি দপ্তরকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যপাল-আচার্যের থেকে আইনি ব্যাখ্যা নিয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তার পর আচার্যের তরফে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের জানানো হয়েছিল, নির্দিষ্ট আইনবলে সেনেট, সিন্ডিকেট, বা কর্মসমিতি, কোর্টের মতো বৈঠক তাঁরা ডাকতে পারে। কিন্তু, তার প্রেক্ষিতে নয়। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।