রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি নিয়ে ফের বিতর্ক। সিসিটিভি কোথায় বসবে, বিস্তারিত জানাতে হবে ছাত্র সংগঠনকে। শুধু সিসিটিভি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের কাজে লাগানো নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বাম, অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলি। কিন্তু কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কিংবা সিসিটিভি নিয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভূমিকা থাকবে পড়ুয়াদের? কেন ব়্যাগিং রুখতে কড়া পদক্ষেপেও বারবার আলোচনায় শামিল হতে হবে, উঠছে সে প্রশ্ন।
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিকের দাবি, “আমরা সিসিটিভি কোথায় বসানো হবে এই বিষয়ে কোনও আপত্তি করিনি, কোথায় সিসিটিভি বসবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয় সেটি। এ নিয়েও আপত্তির কোনও প্রশ্নই নেই।” যদিও এসএফআইয়ের ছাত্রনেতা অনুষ্টুপ চক্রবর্তীর দাবি, “আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে বলেছি। আপত্তি করিনি। শুধু বলেছি, কৌশলগত কারণে যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই বসুক।” যদিও ওই ছাত্রনেতার দাবি, “হস্টেল বা ক্যাম্পাসের গেটে বসুক। কিন্তু করিডোরে বসবে কিনা, এবিষয়ে আমাদের বলা হোক। এটা আমাদের অধিকার, আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ।”
[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছে তাজপুরের হোটেল, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পর্যটকদের]
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করেন। জানান, ”সিসিটিভি নিয়ে তেমন কোনও আপত্তি আসেনি। কোথায় কোথায় বসবে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বৈঠকে। সিদ্ধান্ত কী নেওয়া হবে, পরে ভাবব। আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব। সংবাদমাধ্যম ছাত্রদের বিরক্ত করছে, আমাকে ছাত্ররা বলতে বলেছেন এটা। আমি কিছু জানি না, আমি সত্যিটা বলেছি শুধু, যা বলতে বলা হয়েছে।”