দিপালী সেন ও রমেন দাস: ছাত্রমৃত্যু ঘিরে বিশৃঙ্খলা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur Student Death)। ডেপুটেশন জমাকে ঘিরে উত্তাল ক্যাম্পাস চত্বর। অশান্তির মাঝেই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সদস্য রাজন্যা হালদারের জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। হাতাহাতির মাঝেই জ্ঞান হারান তৃণমূল ছাত্রনেত্রী। তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যাদবপুরের মেন হস্টেলে পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল গোটা রাজ্য। এদিন দফায় দফায় ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখায় যাদবপুর ক্যাম্পাসে। বিকেল এইট বি বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত করে প্রতিবাদ সভা শুরু করে টিএমসিপির সদস্যরা। অরবিন্দ ভবনে ডিনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিকে কয়েক ঘণ্টা ধরে অরবিন্দ ভবনে ডিনকে ঘেরাও করেছিলেন এডিএসওর সদস্যরা। এর মাঝেই সেখানে পৌঁছয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। দু’পক্ষ মুখোমুখি হতেই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে।
[আরও পড়ুন: মা মুক্তি পেতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের]
প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতাহাতি জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদারের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্মারকলিপি জমা দিয়েই যাব। আমাদের শুধু বাধা দেয়নি, গায়ে হাত দিয়েছে। পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে।” পরে রাজন্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই ঘটনার পদপিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত এসএফআই নেত্রী আফরিন। ভরতি কেপিসি মেডিক্যালে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অবস্থা স্থিতিশীল হলেও চিন্তায়, বলছেন চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “ছাত্রমৃত্যুতে স্মারকলিপি সবাই জমা করতে পারে। বাম ছাত্র সংগঠনরা প্রশাসনিক ভবন ঘিরে রাখবে কেন? প্রতিবাদ করলে আমাদের কর্মী রাজন্যার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কোন কালচার?”