সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নির্মীয়মাণ দপ্তর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। এর পরই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি নতুন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর মতে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়। পাশাপাশি জগনমোহনের দাবি, হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এই কাজ করেছে পুরসভা।
এবার লোকসভা নির্বাচনের সময়ই অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুই নির্বাচনেই ধরাশায়ী হয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। ১৭৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১১টিতে জিতেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। লোকসভায় জগনের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৪ আসন। এমন ভরাডুবির মধ্যেই 'আসবাব চোর' কটাক্ষও শুনতে হচ্ছে তাঁদের। এর মধ্যেই শনিবার ভোরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল দলের নির্মীয়মাণ দপ্তরও। অভিযোগ ওই নির্মাণ অবৈধ। সিআরডিএর বিরুদ্ধে আগেই হাই কোর্টে গিয়েছিলেন জগনমোহনরা। দলের এক মুখপাত্রের দাবি, আদালত ওই নির্মীয়মাণ ভবন ভাঙায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করেই ভাঙা হয়েছে বাড়িটি।
[আরও পড়ুন: সলপ ব্রিজের নিচে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ‘ধর্ষণ’]
এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করে জগনমোহন অভিযোগ করেছেন, এভাবেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে 'একনায়ক' বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, আগামী পাঁচ বছর কী ঘটবে তারই যেন ইঙ্গিত দিচ্ছেন নায়ডু। দেশের সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর আবেদন চন্দ্রবাবুর সাম্প্রতিক আচরণের তীব্র নিন্দা করার।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে 'আসবাব চোর' বলে ডাকতে শুরু করেছে টিডিপি। তাদের দাবি, টাডেপল্লিতে নিজের আবাস ও অফিস বানাতে গিয়ে করদাতাদের অর্থে বিপুল খরচ করে আসবাব তৈরি করিয়েছিলেন জগনমোহন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে বিশাখাপত্তনমে ক্যাম্প অফিস হিসেবে হিলটপ প্যালেস তৈরির অভিযোগও তুলেছে নায়ডুর দল। এই পরিস্থিতিতে জগনমোহনের দল কি ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেবে? সেদিকেই নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।