সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জেতার পর সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে চলেছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। রথযাত্রার পরই খুলে যাবে পুরীর রত্নভাণ্ডারের দরজা। বুধবার একথা জানিয়েছেন এএসআইয়ের (ASI) পুরী সার্কেলের এক শীর্ষ আধিকারিক।
পুরী সার্কেলের এএসআইয়ের সুপার দিবিশাদ গড়নায়ক বুধবার জানিয়েছেন, রথযাত্রার পরই রত্নভাণ্ডার পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাতে কোর কমিটি এবং টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ বছর রথযাত্রা পড়ছে দুদিন। ৭ এবং ৮ জুলাই। পুরীতে রথযাত্রা পালিত হওয়ার পরই খোলা হবে রত্নভাণ্ডারের দরজা। রত্নভাণ্ডারের গঠনগত অবস্থা খতিয়ে দেখবে এএসআই। গতবছর বাইরের দেওয়ালের লেজার স্ক্যানিংয়ে বেশকিছু ফাটল এবং জোড়া এলাকায় চিড় ধরেছে বলে দেখা গিয়েছিল। সেগুলি কী অবস্থায় আছে খতিয়ে দেখা হবে।
[আরও পড়ুন: ভোটে ধাক্কার পরেই ‘অন্নদাতা’দের কল্যাণ মোদির! ১৪ শস্যের MSP বাড়াল কেন্দ্র]
মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। এই রত্নভাণ্ডারটি (Jagannath temple Ratna Bhandar) দ্বাদশ শতাব্দীর বলে মনে করা হয়। মন্দিরের রত্নভাণ্ডার শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। রথের পর ফের রত্নভাণ্ডার খোলা হলে প্রায় সাড়ে চার দশক পর ওই দরজা খুলবে। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, পুরীর রত্নভাণ্ডারের চাবিই নাকি হারিয়ে ফেলেছে নবীন পট্টনায়েক সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রত্নভাণ্ডার খোলা হবে। সেই প্রতিশ্রুতিই এবার পূরণ করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিরোধী দলনেতা, আড়াই দশক পর ওড়িশায় ‘কুরসি বদল’ নবীন পট্টনায়েকের]
সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে হলফনামায় মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দিরে ১৫০ কেজি সোনার পাশাপাশি রয়েছে ১৮৪ কেজি রুপো। সাতের দশকের শেষেই যাবতীয় যাবতীয় অলঙ্কার গোনা হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে শেষবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্নভাণ্ডারের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। ওই রত্নভাণ্ডারে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার সোনার মুকুট-সহ প্রায় ১৫০টি সোনার অলঙ্কার-সহ মোট ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে।