shono
Advertisement

Breaking News

জনমতকে উপেক্ষা! রাজ্যসভার প্রথম ভাষণেই সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা ধনকড়ের

বিচারব্যবস্থারও একটা লক্ষণরেখা থাকা উচিত, বুঝিয়ে দিলেন উপরাষ্ট্রপতি।
Posted: 08:58 PM Dec 07, 2022Updated: 08:58 PM Dec 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান হিসাবে প্রথম ভাষণেই সংসদের ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। ২০১৫ সালের বিচারব্যবস্থার নিয়োগ আইন প্রসঙ্গ তুলে ধনকড় (Jagdeep Dhankar) সাফ বলে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সংসদের ক্ষমতার অবজ্ঞা করা হয়েছে। ঘুরিয়ে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, বিচারব্যবস্থারও একটা লক্ষণরেখা থাকা উচিত।

Advertisement

আসলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচারপতি নিয়োগের নিয়মে সংশোধন করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র। সংসদে পাশ করানো হয় বিচারপতি নিয়োগের সংশোধনী আইন। যাতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়াম পদ্ধতিকে কার্যত নাকচ করে দেওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই বিষয়টিকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ বলে সেই আইন খারিজ করে দেয়। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই দিন কয়েক আগে ধনকড় বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর বক্তব্য, সেসময় সুপ্রিম কোর্ট মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করেছিল। সংসদকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ইতিহাসে আর কোথাও এমন ঘটনার নজির পাওয়া যায় না। এই ধরনের ঘটনা আমাদের মতো গণতন্ত্রে ঘটতে থাকলে কীভাবে চলবে?

[আরও পড়ুন: ‘সংসদে বিপজ্জনক বিল আসছে, রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব হবে’, দিল্লিতে আশঙ্কা মমতার]

বুধবার উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথমবার রাজ্যসভার অধিবেশনে চেয়ারম্যানের আসনে দেখা যায় তাঁকে। রাজ্যসভার প্রথম ভাষণেই ধনকড়ের গলায় সেই সুরের প্রতিধ্বনি শোনা গেল। তিনি বলেন, “সংসদ হচ্ছে জনতার রায়ের ধারক। তাই ২০১৫ সালের বিচারব্যবস্থার নিয়োগ আইন প্রসঙ্গে পালটা পদক্ষেপ করাটা সংসদের কর্তব্য ছিল। আমার বিশ্বাস আগামী দিনে এই সদন সেটাই করবে।” ধনকড় বলেন, সময় এসেছে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেরই মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখা উচিত। উপরাষ্ট্রপতির অভিযোগ, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে, মানুষের মতামতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘পুষ্করে স্নান করলে পাপ ধুয়ে যেত’, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ ‘নাস্তিক’ বিমান বসুর]

আসলে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে প্রায় নিয়মিত কোনও না কোনও বয়ান দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাতে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরই মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি সরাসরি আসরে নেমে পড়লেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement